পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে বিদ্যুৎ আমদানির মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে। এবারের চুক্তির মাধ্যমে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরা থেকে প্রতিদিন ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেশে আসবে। রোববার (১৭ অক্টোবর) সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, এবারের চুক্তির ফলে বিদ্যুৎ আমদানিতে সরকারের ৭০৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। পাঁচ বছরে এ বিদ্যুৎ আমদানির জন্য সরকারের চার হাজার ১৮৯ কোটি টাকা খরচ হবে।
ত্রিপুরার এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভায়াপার নিগম লিমিটেড থেকে এক চুক্তির আওতায় সরকার ২০১৬ সাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে আসছে। এ বছরের ১৬ মার্চ আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর প্রতিষ্ঠানটি চুক্তি আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করে। আগের চুক্তির সব শর্ত ঠিক রেখে শুধু দাম পরিবর্তন করে নতুন চুক্তি করা হলো।
আগে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের দাম ছিল ৭ টাকা ৯৯ পয়সা। এবারের চুক্তিতে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ টাকা ১৩ পয়সা। এ ছাড়া বছরে ২ শতাংশ হারে এই দাম বাড়বে। আগের চুক্তিতে ৫ শতাংশ হারে দাম বেড়েছে।
এ ছাড়া রোববারের সভায় বেসরকারি উদ্যোগে ৬৬০ মেগাওয়াট গ্যাস বা এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। যদি গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তাহলে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের মূল্য পড়বে ২ টাকা ৯৪ পয়সা। আর এলএনজি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে ৫ টাকা ৪৩ পয়সা দাম পড়বে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি-১৯৯৬ এর আওতায় বিল্ড, ওন অ্যান্ড অপারেট (বিওও) ভিত্তিতে আইপিপি হিসেবে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মেঘনাঘাটের জামালদিতে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাস অথবা আরএলএনজিভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য মালয়েশিয়ার কনসোর্টিয়াম অব এডরা পাওয়ার হোল্ডিংস এসডিএন বিএইচডি এবং বাংলাদেশের উইনিভিশন পাওয়ার লিমিটেডকে এ প্লান্ট স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে সরকারের ২২ বছরের চুক্তি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারত-বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। ত্রিপুরার সূর্যমনি নগর থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লা সীমান্ত পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করে ভারতের পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া (পিজিসিআইএল)। এরপর দেশের অভ্যন্তরে কুমিল্লা জেলা পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩১ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
ভারতীয় অংশে সঞ্চালন লাইন নির্মাণের জন্য পিডিবি ও পিজিসিআইএলের মধ্যে ২০১৫ সালের ৪ মে বাল্ক পাওয়ার ট্রান্সমিশন এগ্রিমেন্ট (বিপিটিএ) স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির মেয়াদ রয়েছে আগামী ২০৫০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ যদি বিদ্যুৎ আমদানি নাও করে, তবু ২০৫০ সাল পর্যন্ত প্রতি মাসে ট্রান্সমিশন চার্জ প্রদান করতে হবে।
বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় ত্রিপুরার বিদ্যুৎ কোম্পানি টিএসইসিএলের কাছ থেকে এনভিভিএনের মাধ্যমে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ এনটিপিসি ও পিডিবির মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়। পরে ২০১৭ সালে ১০ এপ্রিল আরো ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে পিডিবি ও এনভিভিএনের মধ্যে আরেকটি চুক্তি হয়। এর মেয়াদ ছিল চলতি বছরের ১৬ মার্চ পর্যন্ত।
বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ২০৪০ সাল নাগাদ প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে মোট ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানির পরিকল্পনা ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।