বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শুক্রবারের ঘটনায় বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনীতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অপরদিকে যে কোন ধরণের সহিংসতা কঠোর হস্তে দমনে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি টহল দিচ্ছে।
শনিবার ভোরে চৌমুহনীর ইসকন মন্দিরের পুকুর থেকে প্রান্ত চন্দ্র নমদাস (২০) নামের একজনের লাশ উদ্ধার করে মন্দিরের লোকজন। প্রান্ত চাটখিল উপজেলার হাঁটপুকুরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজ্জাকপুর গ্রামের নকুল চন্দ্র নম দাসের ছেলে।
শুক্রবার মন্দিরে হামলার সময় তাকে পিটিয়ে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে দাবী করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসনের ১৪৪ধারা ভঙ্গ করে প্রান্তের মরদেহ নিয়ে চৌমুহনী পৌর শহরের প্রধান সড়ক ছাড়াও বিভিন্ন মন্দিরের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এক পর্যায়ে তাদেরকে শান্ত করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীরা চৌমুহনী বড়পুল সংলগ্ন ফেনী-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়কে অবরোধ করে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লায় পূজা মন্ডপে মুর্তির কোলে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় মুসল্লিরা। এর কিছুক্ষণপর বাজারের কয়েকটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে একদল দূর্বৃত্ত। একই সময় হামলাকারীরা বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা চৌমুহনী বাজারের কলেজ রোড ও ব্যাংক রোডে অবস্থিত বিজয়া সার্বজনীন, ইসকন মন্দির, খোদ বাড়ি মন্দির, লোকনাথ মন্দির, দশবূজা মন্দিরসহ কয়েকটি মন্দিরে দফায় দফায় হামলা চালায়। এসময় তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে হামলা শিকার হন বেগমগঞ্জ থানার ওসি কামরুজ্জামান সিকদার, এসআই রুবেল মিয়াসহ অন্তত ৭-৮জন পুলিশ সদস্যসহ ৩০জন আহত হয়। হামলাকারীরা মন্দিরগুলোতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, তিনটি গাড়ীতে আগুন ও দোকান-পাটে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারসেল ও শটগানের কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে।
এ ঘটনায় যয়তন কুমার সাহা (৪২) নামের একজনকে অচেতন অবস্থায় স্থানীয় রাবেয়া হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে, পরবর্তীতে তার মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃত যয়তন সাহা কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার মুরাদনগর গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন কুমার সাহার ছেলে। তিনি পূজা উপলক্ষে চৌমুহনী এক আত্মীয়র বাড়িতে এসেছিলেন। শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় চৌমুহনী কলেজ রোড, বস্তাগলি, ব্যাংক রোড’সহ বাজারের বিভিন্ন স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।