বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা মহামারি সংকটকে মাথায় রেখে দেশের সব পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার মধ্যে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ভীড় যত বাড়ছে স্বাস্থ্যবিধি ততটাই উপেক্ষিত থাকছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে স্বাস্থ্য বিভাগেরও উৎকন্ঠা থাকলেও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পর্যটকদের কথা শোনানো যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি স্থানীয় হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও তেমন কোন উদ্যোগ লক্ষণীয় না হলেও তাদের তরফ থেকে ‘আগত অতিথিদের সব সময়ই সতর্ক করা হচ্ছে’ বলে দাবী করা হয়েছে।
গত বছর ১৭ মার্চের পরে করোনার প্রথম ঢেউ-এর সময় কুয়াকাটা সহ দেশের সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কয়েক মাস পরে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরে আগত পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো যায়নি। ফলে কুয়াকাটা ও সন্নিহিত কলাপাড়া উপজেলায় ব্যাপকহারে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। এ বছরও গত ২৬ মার্র্চের পরে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে কুয়াকাটা সৈকত সহ পুরো পর্যটন পল্লীই বন্ধ করে দেয়া হয়। গোটা পর্র্যটন এলাকাটিতে নেমে আসে শুনশান নিরবতা। এখানের কয়েক হাজার হোটেল কর্মী সহ পর্যটন কর্মী বেকার হয়ে পড়ে।
পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত মাসে সাগর সৈকত সহ কুয়াকাটা পর্যটন পল্লী পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরনের বিষয়টি উপেক্ষিতই থাকছে। শুধুমাত্র পর্যটন করপোরেশনের ‘হলিডে হোমস’ সহ মোটেল-এ আগত অতিথিদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বিধি নিষেধের বিষয়টি স্মরন করিয়ে দিলেও অন্য কোথাও তার বালাই নেই।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের সাথে সেল ফোনে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, আমরা প্রতিমূহুর্তে রোগীদের চিকিৎসা আর ভ্যাকসিন প্রদান নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও সীমিত সাধ্যের মধ্যে সব সময়ই করোনার মহামারী সম্পর্কেও সকলকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। বিষয়টি নিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কুয়াকাটার বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসনের নজরে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করবেন বলেও জানান।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা মহামারীর এ সময়ে কুয়াকাটা সৈকত সহ জনসমাগমের স্থানগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষার নুন্যতম কোন সুযোগ নেই। এক্ষত্রে যেকোন উদাসীনতা আর অবহেলা পরিস্থিতিকে যথেষ্ট ঝুকিপূর্ণ করে তুলতে পারে বলেও স্মরন করিয়ে দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন।
উল্লেখ্য, দক্ষিনাঞ্চলের ৬ জেলায় এ পর্যন্ত ৪৫ হাজার ১১৪ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্তের মধ্যে মারা গেছেন ৬৭৯ জন। যার মধ্যে পটুয়াখালীতেই আক্রান্ত ৬ হাজার ২৪ জনের মধ্যে ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।