পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাচীন বাণিজ্য নগরী চাঁদপুর। ব্যবসা-বাণিজ্যে চাঁদপুর নৌ বন্দরের ছিল ব্যাপক খ্যাতি। কাল পরিক্রমায় সেসব এখন ইতিহাস। তবে চাঁদপুর জেলাজুড়ে রয়েছে ইতিহাস-ঐতিহ্যের ব্যাপক স্মৃতি চিহ্ন। জতীয় মাছ ইলিশের জন্য বিখ্যাত চাঁদপুর। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়ার মিলন মোহনায় চাঁদপুর জেলা। এই ত্রি-নদীর মিলনস্থল মোলহেড মোহনা দীর্ঘদিন থেকে অঞ্চলের মানুষের ভ্রমণের প্রিয় কেন্দ্র।
এছাড়া হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, বলাখাল জমিদার বাড়ি, আলীগঞ্জ মাদ্দাখাঁ মসজিদ, নাসিরকোটের শহীদ স্মৃতি সমাধিস্থল। শাহরাস্তি উপজেলার হজরত শাহরাস্তি (রহ.)-এর মাজার, রাগৈ মুঘল আমলের ৩ গম্বুজ মসজিদ, মেহের কালিবাড়ি মন্দির। মতলব দক্ষিণে আছে বোয়ালিয়া জমিদার বাড়ি। মতলব উত্তরে রয়েছে ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র। ফরিদগঞ্জে আছে সাহেবগঞ্জ নীলকুটি, লোহাগড়ের মঠ, রূপসা জমিদার বাড়ি ইত্যাদি।
হাল আমলে ব্যাপক কলরবে গড়ে ওঠেছে চাঁদপুরের মতলবে মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড। মেঘনা নদীর তীরে নৈসর্গিক শোভা, সমুদ্র সৈকতের আমেজ ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ছুটে আসেন পর্যটক।
এখানে পর্যটন কর্তৃপক্ষ ও পর্যটক উভয়ই মানছেন স্বাস্থ্যবিধি। পর্যটন কর্তৃপক্ষ মাস্ক ছাড়া কোনো পর্যটককে পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পর্যটকরা ভেতরে প্রবেশ করছেন।
এখানে রয়েছে মিঠা পানির বিচ। বিচে বসে প্রতিদিন জোয়ার-ভাটা দেখে অনেক আনন্দ পায় পর্যটক। নদীতে চলে সারি সারি নৌযান। জেলে ধরছে মাছ। এ দৃশ্য ভ্রমণপিয়াসী মানুষদের আকৃষ্ট করছে।
মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র উল্লেখযোগ্য বিনোদন মধ্যে রয়েছে মূলফটকে ইলিশের বড় প্রতিচ্ছবি, মিঠা পানির বিচ, শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পার্ক, বিভিন্ন রাইড, থ্রিস্টার মানের হোটেল, রেস্টহাউস, ক্যান্টিন, পিকনিক স্পর্ট, নৌকাভ্রমণ, মিনি শিশুপার্ক, রিভার ড্রাইভসহ খেলার মাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত মঞ্চ, মার্কেট, ওয়াচ টাওয়ার, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাসহ ২৪ ঘণ্টা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা।
চলমান করোনাভাইরাসের কারণে বেশ সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ ছিল মোহনপুর পর্যটন লি:। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী গত ১৯ আগস্ট খুলে দেয়া হয়েছে মোহনপুর পর্যটন লি:। জমে উঠছে পর্যটন শিল্প। বাড়ছে পর্যটক।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আ. রহিম বলেন, করোনার কারণে ঘরবন্দি হয়ে গেছে পরিবার। বাচ্চারা হাফিয়ে উঠেছে। মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রটি ঢাকার কাছে হওয়া সহজেই চলে আসা যায়। পর্যটনটি এসে ভালোই লাগছে। বাচ্চা খুব মজা করছে।
মোহনপুর পর্যটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান বলেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী মোহনপুর পর্যটন স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেয়া হবে। আপনারা দেশবাসী এখানে আসবেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে বিনোদন করবেন। পর্যটনের বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, এখানে রয়েছে মিঠা পানির বিচ। রয়েছে উন্নত মানের দ্য শিপ ইন নামের রেস্টুরেন্ট। আরো রয়েছে উন্নতমানের কটেজ ও রিসোর্ট। শিশুদের জন্য রয়েছে থিমপার্ক। শিশুরা এখানে আসলেই আনন্দিত হবে। রয়েছে সৌন্দর্য বর্ধনের মনোরম বাগান ও লাভগেট, রয়েছে উন্নতমানের কফি শপ এবং মার্কেট। সবচেয়ে বেশি যেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটা হলো শক্তিশালী সিকিউরিটি গার্ড ব্যবস্থা। পুরো পর্যটন এলাকাজুড়ে রয়েছে হাই সিকিউরিটি ব্যবস্থা ও সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষক নিরাপত্তা। তিনি সবাইকে মোহনপুর পর্যটনে আসার জন্য স্বাগত জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।