প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
দেশের ব্যান্ড কিং খ্যাত মরহুম আইয়ুব বাচ্চুর পরিবার তার কিছু গানের রয়েলিটির ৯ লাখ টাকা পেয়েছে। ২০১৭ সালে আইয়ুব বাচ্চু নিজের কিছু গানের কপিরাইট নিবন্ধন করেছিলেন। এর এক বছর পর ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর প্রয়াত হন এই ব্যান্ড কিংবদন্তী। ২০২০ সালে ১৮ অক্টোবর আইয়ুব বাচ্চুর ২৭২টি গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় কপিরাইট অফিস। সেই গান থেকে গত এক বছরে আয় হয়েছে ৫ হাজার ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ টাকা। এবার সেই সম্মানী পরিবারের হাতে তুলে দিলো বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। এছাড়া দুটি মোবাইল অপারেটর ও স্বাধীন মিউজিক অ্যাপস নামের সঙ্গীত বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম রয়্যালটি হিসেবে ৫ লাখ টাকা প্রদান করে। আইয়ুব বাচ্চুর এই ২৭২টি গান তাদের প্ল্যাটফর্মে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে। মাসিক হারে রয়্যালটি পাবে তার পরিবার। গত ১২ অক্টোবর আগারগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই রয়্যালটির অর্থ বাচ্চুর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবিহা পারভীন। আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনার হাতে রয়্যালটির ৫ ও ৪ লাখ টাকার চেক দুটি তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সন্তানের পিতা-মাতা হারানোর ব্যথা আমরা বুঝি। পিতার শূন্যস্থান পূরণ হয় না। আইয়ুব বাচ্চু কপিরাইটস নিয়ে কাজ করেছিলেন। আমরা তার সন্তানের হাতে অন্তত তার প্রাপ্য তুলে দিতে পেরেছি। ভবিষ্যতে আরও অনেক শিল্পীর জন্য কাজ করবে সরকার। গায়ক ও কপিরাইট বিশেষজ্ঞ জুয়েল মোর্শেদ গত এক বছরে আইয়ুব বাচ্চুর ডিজিটাল রেভিনিউ প্রজেকশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। তিনি জানান, গত এক বছরে ৫ হাজার ডলার এলেও আগামী বছর এটা ২০ হাজার ডলার (১৬ লাখ টাকা) ছাড়িয়ে যাবে, যা চক্রবৃদ্ধি হারের মতো বাড়তেই থাকবে। অনুষ্ঠানে কপিরাইট অফিসকে ধন্যবাদ জানান আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা। তিনি বলেন, আইয়ুব বাচ্চু চলে যাবার প্রথম দুই বছর আমরা কী করবো বুঝে উঠতে পারিনি। তার গান কীভাবে ভক্তের কাছে পৌঁছাবে, সংরক্ষণ হবে বা সন্তানরা কীভাবে প্রাপ্য পাবে বুঝে উঠতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রীসহ কপিরাইট অফিসকে ধন্যবাদ আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।