মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অপ্রতিরোধ্য সেনাবাহিনী তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। কোরিয়ার সমস্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেছেন তিনি। তার দাবি, তিনি যে অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছেন, তা প্রতিরোধকের কাজ করবে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কিম জং উন বলেছেন, আত্ম-রক্ষার্থেই অস্ত্র উন্নয়ন ঘটাচ্ছেন তারা, যুদ্ধ শুরু করতে নয়। বিরল এক প্রযুক্তি প্রদর্শনীতে ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল(আইসিবিএম)-এর সামনে দাঁড়িয়ে কিম এই মন্তব্য করেছেন। গত বছর সামরিক প্যারেডে আইসিবিএম প্রথমবার দেখানো হয়। সম্প্রতি দেশটি নতুন হাইপারসনিক এবং উড়োজাহাজ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া নিজেদের সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।
পিয়ংইয়ংয়ে সেলফ ডিফেন্স ২০২১ প্রদর্শনীতে রাখা বক্তব্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক সক্ষমতার কথা উল্লেখ করেন কিম জং উন। তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া প্রতিবেশীর সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করতে চায় না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করছি না, বরং যুদ্ধকেই ঠেকাতে চাই আর জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুদ্ধ এড়ানোর সক্ষমতা বাড়াচ্ছি।’ কিম জং উন অভিযোগ করেন উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আচরণগত কোনও ভিত্তি নেই যে, উত্তর কোরিয়া বিশ্বাস করবে ওয়াশিংটনের শত্রুতার নীতি নেই।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যুক্তরাষ্ট্র বরাবর বলে আসছে তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের দাবি করছে তারা। এখন পর্যন্ত তা অস্বীকার করে আসছে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ। তবে এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আসছে উত্তর কোরিয়া। ফলে তীব্র নিষেধাজ্ঞার কবলে রয়েছে দেশটি।
কিমের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রই সব সমস্যার মূলে। তারা পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে শত্রুতার নীতি নিয়ে চলেছে। তার দাবি, ‘আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা যুদ্ধ না করার পক্ষে। কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রতিরোধক গড়ে তুলছি মাত্র।’ বাইডেন প্রশাসন অবশ্য দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে তারা কোনো শত্রুতার নীতি নিয়ে চলছে না। কিমের বক্তব্য, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ কি বাইডেন প্রশাসনের এই দাবি মানেন?’
দুই কোরিয়াই এখন উন্নত মানের অস্ত্র তৈরি করছে বা কিনছে। তার মধ্যে ছোট পাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল আছে। উত্তর কোরিয়া তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারা প্রধান পরমাণু রিঅ্যাকটারের সম্প্রসারণও করছে। পরমাণু বোমা বানানোর কাজে তা লাগানো হতে পারে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও তার বন্ধু দেশগুলোর কাছ থেকে এফ ৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমানও কিনেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন করা আছে। উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য তাদের রাখা হয়েছে বলে দাবি। গত অগাস্টে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সেনা মহড়াও করেছে। কিম বলেছেন, এই মহড়া আসলে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি।
২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন কিম। কিন্তু সম্পর্ক ভালো করার সেই প্রয়াস এক বছরের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী, কিন্তু উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, আলোচনার পূর্বশর্ত হলো, তাদের বিরুদ্ধে সব নিষেধাজ্ঞা আগে তুলে নিতে হবে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়াকে সামরিক সাহায্য দেয়া বন্ধ করতে হবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।