গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সন্ত্রাসী হামলার হোতা, আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, আন্দোলনের নামে আর বাংলাদেশকে রণক্ষেত্রে পরিণত করতে দেওয়া হবে না।
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের অধীনস্থ ইউনিটসমূহের সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করে তিনি এমন কথা বলেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রিং রোডের সূচনা কনভেনশন সেন্টারে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ইউনিট সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে যার শুরু হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘লন্ডনে বসে সন্ত্রাসের হুমকি দেন। লাদেন হয়েছেন। ৪ দিন রুদ্ধদার মিটিং করলেন। আর লন্ডন থেকে প্রসাদসম বাড়িতে বসে বাংলাদেশে চাঁদাবাজি করে নিয়ে বাংলাদেশকেই রণক্ষেত্রে পরিণত করবেন। সেই রণক্ষেত্রে পরিণত করতে দেওয়া হবে না।’ শ্বেত সন্ত্রাস করে জনগণের মন জয় করা যায় না বলেও এ সময় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে করে বলেন বলেন তিনি।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘যারা আদর্শবান। যারা দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য বিসর্জন দিয়ে গিয়েছে, তাদেরকে দলের নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই দল শক্তিশালী হবে। মনে রাখতে হবে, বিএনপি থেকে যারা আসে, যুবদল থেকে যারা আসে তারা দলের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে।’
আওয়ামী লীগের উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি এই ওয়ার্ডেরই একজন বাসিন্দা, ভোটার। মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ভেতরে বুক ফাটা চাপা কান্না রয়েছে। সেই চাঁপা কান্না আপনাদের শুনতে হবে, বুঝতে হবে। আর সেই কান্না হলো আমরা যোগ্য জায়গায় সম্মানিত হই নি পূর্বে। আমি বিশ্বাস করতে চাই বর্তমান মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কেউ নি:ঘৃত হবেন না।’
তিনি বলেন, ‘মির্জা আজমের চিন্তা চেতনায়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এই যে ইউনিট সম্মেলন শুরু হলো তা আওয়ামী লীগের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।’
উত্তরে ৫৬ হাজার তৃণমূল নেতা পদ পাবে : মির্জা আজম
সম্মেলনে ঢাকা মহানগরে ইউনিট কমিটির উদ্দেশ্য নিজ বক্তব্যে তুলে ধরেন ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তরে ১৪’শ ইউনিট আছে। এর প্রত্যেকটির সম্মেলন হলে ঢাকা মহানগর উত্তরের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠনের রুপ নিবে। ফলে প্রায় ৫৬ হাজার তৃণমূল নেতা পদ পদবী পাবে। যেই কর্মীদের কোন পদ-পরিচয় ছিল না। যদি আওয়ামী লীগের ৫৬ হাজার হয় অন্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন তারা যদি একইভাবে ইউনিট কমিটি করে সংগঠন গোছায় তাহলে আগামীতে এই ঢাকা মহানগরীতেই ৫ লক্ষ নেতা আওয়ামী লীগের পরিচয়ধারী থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর ঢাকা মহানগরীতে দুটি নির্বাচনে পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে দেখেছি, যে একটি নির্বাচনী এলাকায় গত ১৮ বছর ধরে সর্বসাকুল্যে ৩২ জন নেতার দলের পদ-পদবী আছে। আর কোন নেতার পদ নেই। সে কারণে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় সম্মেলন ছাড়া কমিটি গঠনের যে রেওয়াজ সেই রেওয়াজ থেকে বাইরে আসার আমি অনুরোধ জানিয়েছিলাম।’ এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর ও ঢাকা জেলার দলীয় কোন কার্যালয়ে নেই জানিয়ে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আসার পর জেনেছি যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক কাঠামোগতভাবে দুর্বলতা রয়েছে। আমি জেলা পর্যায়ে রাজনীতি করেছি, প্রত্যেকটা জেলা ও উপজেলা সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আজকে আমরা যে ইউনিটের সম্মেলন করছি, প্রশাসনিক একটি ওয়ার্ড একটি ইউনিটের সমান। আজ থেকে ২০ বছর আগেও দেখেছি, একটি ওয়ার্ডের সম্মেলন হলে মানুষের অনেক ভীড় হয়। কিন্তু ঢাকায় ইউনিট কমিটিগুলো সম্মেলন ছাড়াই এতদিন হচ্ছিল।’
এর আগে সকালে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সহ সভাপতি সাদেক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্বে করেন ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সলিমউল্লাহ সলু। সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।