গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপির অপকর্মকে প্রত্যাখ্যান করে দেশের জনগণ তাদের দিকে থুথু মেরে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিন্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আজ রোববার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বর গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। করে। এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি বক্তব্যের সমালোচনা করে নানক বলেন, গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকেন, তার পাশে চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে মাতম করেন, তান্ডব চালিয়েছেন। আমাদের সহ্যের বাধ যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে আপনাদের জন্য মঙ্গল হবে না। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, এই ছাত্রলীগ হল বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ক্যান্টনমেন্ট। এই ছাত্রলীগ শেখ হাসিনা গ্রেফতার পরে এই ছাত্রলীগ, যুবলীগই এক/এগারের সময় গ্রেফতারের পর প্রতিবাদ করেছে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, প্রতিরোধ করেছে। কিন্তু আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, এইভাবে চলতে পারে না। সংগঠন দাঁড় করাতে হবে। যাদের সম্মেলনের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাদের সময় দিয়ে দিতে হবে। এতো তারিখের মধ্যে কমিটি গঠন করবেন নতুবা সেই কমিটি সেই তারিখে বিলুপ্ত হয়ে যাবে, বাতিল হয়ে যাবে। সেই জায়গায় সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি করে সম্মেলন করে কমিটি ঘোষণা করতে হবে। ঢাকা থেকে ঘোষণা দিয়েন না। এই কমিটি দিয়ে কোন কাজ হবে না।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেজর সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।