Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিকনগুনিয়া- ভাইরাল জ্বর

প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চিকনগুনিয়া একটি ভাইরাল জ্বর। চিকনগুনিয়া নামক আলফা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকনগুনিয়া জ্বর হয়। আফ্রিকা এশিয়াসহ প্রায় পঞ্চাশটি দেশে এই জ্বরের দেখা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী সাভারে ইতোমধ্যে কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এই জ্বরে কোনো মৃত্যু ভয় নেই। তাই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
আক্রান্ত বাক্তিকে কামড়ানো এডিস মশার কামড়ে এই রোগ ছড়ায়। কামড়ানোর ২ থেকে ১২ দিনের ভেতর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। রোগীর হঠাৎ করে জ্বর আসে। কয়েক দিন পর জ্বর থাকে না। আবার কয়েক দিন পর ফিরে আসে। সাথে সারা শরীরে লাল লাল স্পট বা জধংয ওঠে, যা শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। অনেকে গিঁটের ব্যথায় ভোগেন, বিশেষ ভাবে বড়রা। প্রত্যুষে বেশি অনুভব করা যায়। ছোট ছোট গিঁটগুলো ফুলে যায়। হঠাৎ করে অনেক গিঁট আক্রান্ত হতে পারে। এই সমস্যা কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত রোগীকে ভোগাতে পারে। এইসএলএ বি ২৭ পজিটিভরা দীর্ঘদিন ভোগে।
লক্ষণ দেখে ও রক্তে সেরোলজিক্যাল টেস্ট করে রোগ ডায়াগনসিস করা হয়।
চিকনগুনিয়া জ্বরে নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়।। সাধারণভাবে এনএসএআইডি ও প্যারাসেটামল ব্যবহার করা হয়।
এখন ডেঙ্গু জ্বরেরও মৌসুম। তবে গিঁটে এখানে খুব বেশি ব্যথা থাকে না কিন্তু শরীরে প্রচুর ব্যথা থাকে এবং রক্তে প্লাটিলেট কমে যায়। ডেঙ্গু সাধারণত, ১৫ দিনের ভেতর সেরে যায়।
আসুন মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা নেই, তাহলেই মশাবাহিত রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
প্রফেসর ডা. এ.কে.এম. মোখলেছুজ্জামান,
কনসালটেন্ট ইন্টারনাল মেডিসিন,
আসগর আলি হাসপাতাল, গে-ারিয়া।
মোবাইল : ০১৭৮৭৬৮৩৩৩৩



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিকনগুনিয়া- ভাইরাল জ্বর

আরও পড়ুন