গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তামাকের বিরুদ্ধে আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছিলাম তা মনে হয় মোটামুটিভাবে সফল হয়েছি। এখন প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করে না, সেই দৃশ্যটাও আমরা দেখছি। তামাক যে ক্ষতিকর সেটা মানুষজন জেনে গেছে। সে কারণে অনেকেই তামাক থেকে ফিরে সাধারণ জীবনযাপন করছে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্র ওয়েসিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন। পুলিশ বাহিনীর প্রচেষ্টায় আমরা সেটা সফল হয়েছি। সেই যুদ্ধেই আজ আমরা অবতীর্ণ। এ যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে। অন্যথায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা রক্ষা করতে পারবো না।
‘মাদকের ডিমান্ড, সাপ্লাই এবং হার্ম (ক্ষতি) হ্রাস –এই তিন ধরনের কাজ করে থাকি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এলাকার যারা জনপ্রতিনিধি রয়েছেন তাদের কাছে আহ্বান রাখবো, আপনারা সবাইকে উদ্ভুদ্ধ করুন, জানান। এটা যদি আমরা কন্ট্রোল করতে না পারি, নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম শেষ হয়ে যাবে। আমরা ২০৪১-এ যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সেখানে হোঁচট খাবো। সে জন্যই মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের দেওয়া এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবাইকে এখানে একযোগে কাজ করতে হবে। মাদক থেকে সবাইকে বিরত রাখতে হবে। মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদের জানাতে হবে। আইজি সাহেব বলেছেন, মাদক আমাদের দেশে তৈরি হয় না। এমনকি ফেনসিডিলও আমরা তৈরি করতে দেই না।
মাদকের ভয়াবহতার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হেরোইন-ইয়াবার পর এখন এসেছে ভয়ানক মাদক এলএসডি। এলএসডি যে কতটা ভয়ানক তা আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র নিজের গলা নিজে কাটতে গিয়েছিল, সেই দৃশ্যও আপনারা দেখেছেন। আপনাদের ঐশীর কথাও মনে আছে। সন্তান যখন মাদকাসক্ত হয় আপনারা তখন প্রকাশ করতে চান না। ভাবেন সমাজের মানুষ কী বলবে। যখন আপনার সন্তান মাদকাসক্ত হয়, তখন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, অসমর্থিত হিসাবে আমাদের দেশে ৮০ লাখ লোক মাদকাসক্ত। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে আমাদের সরকারি একটি মাদক নিরাময় হাসপাতাল রয়েছে। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, আপনি নিজে একবার এ হাসপাতাল দেখতে যাবেন। আমাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এটা নিয়ন্ত্রণ করেন। এ হাসপাতালে অনেক কিছু নেই, অনেক সমস্যা। তারপরও হাসপাতালটি চলছে।
মাদকাসক্ত সন্তানকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সন্তান যখন মাদকাসক্ত হয় আপনারা তখন প্রকাশ করতে চান না। ভাবেন সমাজের মানুষ কি বলবে। যখন একটা ক্ষতি হয়ে যাবে, তখন কেঁদেও কূল পাবেন না। ক্ষতি হ্রাসের মাধ্যমে আমরা যদি ৮০ লাখ মাদকাসক্ত থেকে ৮ লাখেও আনতে পারি, এটাও আমাদের একটা সফলতা বয়ে আনবে।
দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার বেশি লোক রয়েছে। এর বেশিরভাগ শুধুমাত্র মাদক মামলার আসামি বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।