বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার কয়রা সরকারি মহিলা কলেজের সামনে থেকে কপোতাক্ষ কলেজের মাঠ পর্যন্ত নির্মাণাধীন ড্রেনের জন্য খুঁড়ে রাখা গর্তে জমে থাকা পানি মশার প্রজনন ক্ষেত্র এখন। এছাড়া ড্রেনে ফেলা ময়লা-আবর্জনা থেকে পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে ফেলছে। কয়রায় প্রধান সড়কের বাজার ব্যবসায়ীরা ও ভুক্তভোগীরা বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
খুলনা সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৮/১৯ অর্থবছরে খুলনার জেলা সড়ক যথাযথ মান প্রশস্তকরণ (খুলনা জোন) প্রকল্পের আওতায় খুলনা সড়ক বিভাগের কয়রা, নওয়াবেকী ও শ্যামনগর মহাসড়কের ৭ কিলোমিটার উন্নয়ন ও কয়রা বাজারের রাস্তার দুপাশে ৭ মিটার করে ১৪শ মিটার ড্রেনটি নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৫ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের এক পাশে প্রায় দু’বছর আগে ড্রেন নির্মাণের জন্য মাটি খুঁড়ে লম্বা খালের মতো করে রাখায় দোকানের সামনে তক্তা দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে ব্যবসা করছেন সড়কের পাশের ব্যবসায়ীরা। কিছুটা জায়গায় ড্রেন নির্মাণ হলেও বড় অংশটা ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ফলে ফেলা রাখা গর্তে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এছাড়া রাস্তা খুড়ে রাখায় বাজারে প্রতিনিয়ত লেগে থাকে যানজট। এর ফলে প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ব্যবসায়ী ও পথচারিরা।
বাজার ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, ‘দোকানের সামনে ড্রেন খুড়ে রাখায় যাতায়াতের জন্য তক্তা দিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে। ফলে দোকানে ক্রেতাদের যাতায়াতে খুব সমস্যা হয়। অনেক সময় ক্রেতা কাঠের তক্তা ভেঙে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।’
কয়রা বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক আছাদুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ দু’বছর ড্রেনের জন্য রাস্তার পাশ খুড়ে রাখায় কাস্টমার ঠিক মতো দোকানে যেতে না পারেন না। ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। অনেক দোকানও বন্ধ হয়ে গেছে। আর খুঁড়ে রাখা ড্রেনে ময়লা অবর্জনা ফেলায় মশার আবাস ও প্রজননক্ষেত্র বেড়েছে।
নব-নির্বাচিত সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম বলেন , ‘দীর্ঘদিন ধরে কয়রা বাজারের ড্রেনটি সংস্কার না হওয়ায় ব্যবসায়ী পথচারি এবং গাড়ি চালকেরা বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হন। এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী সাথে কথা বলেছি।’
খুলনা সড়ক ও জনপদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিম কাউছার বলেন, ‘মেসাস মোজাহার ইন্টারপ্রাইজ যথা নিয়মে কাজটি শুরু করে। কিন্তু আম্পানে কয়রা সদর প্লাবিত হয়ে যাওয়ায় পূর্ব নির্ধারিত ব্যয়ে প্রকল্পটি নির্মাণ সম্ভব না হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে। পুনরায় প্রকল্পটি নতুন করে শুরু জন্য মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।’স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে কাজটি বন্ধ ছিলো। আমি সড়ক ও জনপথের সচিবের সাথে কথা বলেছি। দ্রুত সময়ের ভিতরে কাজটি শুরু হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।