Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার শর্তেই রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে-প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব রাশিয়ার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার শর্তেই রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বলেও জানান তিনি। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এক অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে আলোচনা প্রসঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা ওঠে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ রূপপুরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে প্রসঙ্গটি বৈঠকে তোলেন।
সূত্র আরও জানায়, এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার শুরুতেই এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি পরিষ্কারভাবে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের আমি স্পষ্টভাবে বলেছি বর্জ্য নিয়ে যেতে হবে। আমি বলেছি, যেহেতু আমাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব আমরা নিতে পারব না। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব রাশিয়াকে নিতে হবে। এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তারা নিয়েছে। প্রকল্পের বর্জ্য রাশিয়া নিয়ে যাবে সেই অনুযায়ীই চুক্তি হয়েছে। তবে বর্জ্য পরিবহনের খরচ আমরা দিয়ে দেব।
আলোচনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানসহ মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যরাও অংশ নেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী রাশিয়ার সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তির বিষয়গুলো বৈঠকে তুলে ধরেন।
পারমাণকি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, নির্মাণ ব্যয়, নির্মাণের পর প্রকল্পের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিচালনার সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবে রাশিয়া। এই প্রকল্পের আয়ুষ্কাল পর্যন্ত রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে বলে সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। তখন একমাত্র রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়েছিল। রাশিয়া তখন বাংলাদেশের পক্ষ নেয়ায় আমাদের ভালো লেগেছিল। এখন একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল হওয়া ভালো লাগছে না! এ নিয়ে সমালোচনা হয়। তাও হয় একজন সাবেক রাশিয়াপন্থির পত্রিকায়।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার অর্থায়ন, প্রযুক্তি এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয়ের ৯০ ভাগ অর্থ ঋণ দেবে রাশিয়া। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন অনুমোদন
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাসহ বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৬’র খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আকাক্সক্ষা ও দেশে উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। খসড়া আইন অনুযায়ী চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কাউন্সিল গঠন করা হবে। ৪ জন পূর্ণকালীন ও ৮ জন খ-কালীন সদস্য থাকবেন। এই কাউন্সিল দেশে শিক্ষার মান নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করবে। কাউন্সিলের সদস্য ও চেয়ারম্যানের কমপক্ষে ১০ বছর প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
খ-কালীন সদস্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন একজন, যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন সরকার মনোনয়ন দেবে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি বা সংস্থাটির একজন প্রতিনিধি, স্বীকৃত বিদেশি একটি অ্যাক্রিডিটেশন এজেন্সির একজন এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠনের একজন প্রতিনিধিও নিয়োগ দেবে সরকার। এছাড়া এফবিসিসিআই’র একজন উদ্যোক্তা, শিক্ষা প্রশাসনের একজন বিশেষজ্ঞ এবং এক আইটি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেবে সরকার।
সচিব বলেন, মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়া কনফিডেন্স সার্টিফিকেট বা অ্যাক্রিডেটেশন স্থগিত ও বাতিল করতে পারবে এ কাউন্সিল। কাউন্সিল দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাক্রিডিটেশন এবং বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রত্যেক বিভাগে পৃথক অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি গঠন করবে। এছাড়া সংস্থাটি অ্যাক্রিডিটেশন ও কনফিডেন্স সার্টিফিকেট প্রদানের শর্তও নির্ধারণ করবে।
শফিউল আলম বলেন, কাউন্সিল আন্তঃরাষ্ট্র পর্যায়ে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করবে। সংস্থাটি অ্যাক্রিডিটেশনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার মাঝে অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন ও প্রচার অভিযানের আয়োজন করবে।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা আইন অনুমোদন
বাংলাদেশ পারমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে আরো গতিশীল ও সময়োপযোগী করতে মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিনা) রিচার্স ল’-২০১৬’ অনুমোদন করেছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন আইনে বিনায় একটি উপদেষ্টা পরিষদ এবং একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হবে। উপদেষ্টা পরিষদ সময়মত পরামর্শ এবং নীতিগত সহায়তা দিয়ে পরিচালনা পর্ষদকে দিক-নির্দেশনা দেবে। কৃষিমন্ত্রী এই উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান হবেন এবং কৃষিসচিব সহ-সভাপতি হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা হবেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম-সচিবের নিচে নয়), পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অথবা তার মনোনীত প্রতিনিধি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং সরকার মনোনীত তিনজন ব্যক্তি। এদের মধ্যে একজনকে হতে হবে পরমাণু কৃষি অভিজ্ঞ, একজন অভিজ্ঞ কৃষক, অপরজন কোনো বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিনা’র মহাপরিচালক এই উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। বিনা’র মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান থাকবেন।
অপর সদস্যরা হলেন, আণবিক শক্তি কমিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের প্রতিনিধি, উপদেষ্টা কাউন্সিলের প্রতিনিধি, ইন্সটিটিউটের পরিচালকবৃন্দের প্রতিনিধি, সরকার মনোনীত ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বিজ্ঞানী, সরকার মনোনীত কোনো অভিজ্ঞ কৃষক এবং এনজিও প্রতিনিধি, কৃষি মন্ত্রণালয় মনোনীত প্রতিনিধি (উপ-সচিব-এর নিচে নয়), অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি (উপ-সচিবের নিচে নয়)।
মন্ত্রিসভা আগের দু’টি আইন একিভূত এবং বাংলায় অনুবাদ করে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি) আইন-২০১৬’ অনুমোদন করেছে।
সচিব বলেন, বাংলায় অনুবাদ করা সামরিক শাসনামলে প্রণীত ১৯৭৮ সালে একটি এবং ১৯৮৫ সালে প্রণীত অপর আইনটি একীভূত করা ও বাংলায় অনুবাদের মাধ্যমে নতুন আইন দুটি প্রণীত হবে, নতুন আইনে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করা হয়নি। প্রস্তাবিত আইনে সাতটি দায়িত্বের বিশেষ করে ব্যবস্থাপনা এবং ডায়রিয়া ও এ ধরনের রোগের গবেষণার উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনের আলোকে, সর্বনিম্ন ১২ এবং সর্বোচ্চ ১৭ সদস্যের একটি বোর্ড গঠিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই বোর্ডে সরকার মনোনীত চারজন সদস্য থাকবেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন এবং জাতিসংঘ সংস্থার অপর একজন থাকবেন। কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বোর্ডের একজন সদস্য হবেন। বোর্ড বাকি সদস্যদের মনোনয়ন দেবেন। তিনি বলেন, অন্য দেশসমূহ দু’জনের বেশি সদস্য মনোনয়ন দিতে পারবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বোর্ডের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, বোর্ডের সকল সদস্য তিন বছরের জন্য নিযুক্ত হবেন। তবে, পরবর্তীতে তাদের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানো হতে পারে।
বোর্ডের কর্মকা- সম্পর্কে তিনি বলেন, বোর্ডের প্রধান কাজ হবে কেন্দ্রের সামগ্রিক কর্মকা- তদারক করা। তিনি বলেন, বছরে অন্তত দুটি বোর্ড সভা করতে হবে। কেন্দ্র দেশ ও বিদেশের আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে পারবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, মন্ত্রিসভা নাফ নদীর সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাবিত ‘উৎপাদনশীলতা সহযোগিতা উন্নয়ন’বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অনুসমর্থন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাবিত উৎপাদনশীলতা সহযোগিতা উন্নয়ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অনুসমর্থন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটি মূলত দুই দেশের ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের জন্য। ছোট একটি চুক্তির ফ্রেম অব এগ্রিমেন্ট তৈরি করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রপতি আসবেন, তার উপস্থিতিতে এই চুক্তি হবে। তারা এটির অনুসমর্থন চেয়েছে, তাই চুক্তির অনুসমর্থন দেয়া হয়। আগামী শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) চীনের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফরে আসছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রূপপ

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৯ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ