পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন। পরিদর্শনকালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং এ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি মন্তব্য করেন বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কেবল শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করতে চায়।
গত শুক্র ও শনিবার পররাষ্ট্রসচিবসহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের সমমান ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে ওৎপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের ভিয়েনা ও মস্কো মিশনের মাধ্যমে এ প্রকল্পের বিষয়ে আইএইএ ও রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন, নিরাপত্তা রক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষার সুবিধার্থে বাংলাদেশি কূটনীতিক ও সম্ভাব্য রাষ্ট্রদূতদের জন্য সরেজমিনে এ পরিদর্শনের আয়োজন করা হয়। এছাড়া পারমাণবিক শক্তিকে ইতিবাচক কাজে ব্যবহারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার সুবিধার্থে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের গর্ব এবং এদেশের ইতিহাসের অংশ হিসেবে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এটা আমাদের জন্য একটা বড় অর্জন। পারমাণবিক শক্তিকে আমরা নেতিবাচক কাজে ব্যবহারের বিপক্ষে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এ বিষয়ে অত্যন্ত সোচ্চার এবং পৃথিবীর মধ্যে এটা অন্যতম দৃষ্টান্ত। তবে মানুষের ভালো কাজে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে আমরা সবসময় সমর্থন করি। বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কেবল শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করতে চায়। পারমাণবিক শক্তি ভালো কাজে ব্যবহারের এ প্রকল্প বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি আরো বৃদ্ধি করবে।
পরিদর্শন শেষে এ প্রকল্পের অগ্রগতিসহ সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্পের রাশিয়ার নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক। প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান। যথাসময়ে এ প্রকল্পের কাজসম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় ড. মোমেন বলেন, রাশিয়া সবসময় বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠবন্ধু। স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের পক্ষে তিনবার জাতিসংঘে ভেটো প্রদানসহ বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতা করে রাশিয়া। এসময় বাংলাদেশের জ্বালানি খাতসহ ব্লু ইকোনোমিতে রাশিয়ার বিনিয়োগ ও সহায়তা কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে রাশিয়ার উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে এবং সেদেশের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হবে। এসময় জানানো হয়, এ প্রকল্পে কর্মরত প্রায় ১৬ হাজার জনবলের মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার বাংলাদেশি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে উত্তরা গণভবন সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, এ বাড়িকে উত্তরা গণভবনে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধু উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্য ও স্মৃতিকে ধরে রেখেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।