মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে আন্ত:সীমান্ত যোগাযোগ পুনরায় শুরু হয়েছে। আগস্টের পর সোমবার দুই দেশের কর্মকর্তারা প্রথম ফোনকল বিনিময় করেন। ফোনকলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিউলের পুনঃএকত্রীকরণ মন্ত্রণালয় । উত্তর কোরিয়ার একের পর এক সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে বিশ্ব উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এ ফোন যোগাযোগ পুনরায় চালু করা হলো। এদিকে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও আন্তঃসীমান্ত সামরিক যোগাযোগ পুনরায় চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পুণঃএকত্রীকরণ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্ত:সীমান্ত যোগাযোগ পুনরায় শুরু হওয়ার কারণে সরকার আশা করছে আন্ত:কোরীয় সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে উভয় দেশের মধ্যে বাস্তবসম্মত আলোচনাও শুরু হবে। একবছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর জুলাইয়ে উভয় কোরিয়া আন্তঃকোষীয় যোগাযোগ পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু দু’সপ্তাহ পরেই উত্তর কোরিয়া সাড়া দেয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এবারে যোগাযোগের উদ্দেশ্য স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা বলে উল্লেখ করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ। কিন্তু একজন বিশ্লেষক উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা তুলে ধরে সোমবারের এ যোগাযোগকে প্রতীকী বলে উল্লেখ করেছেন। গত আগস্টে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিবাদে হটলাইন বন্ধ করে দেয় পিয়ংইয়ং। তবে দুই কোরিয়ার মধ্যে যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই হটলাইন ফের সক্রিয় করতে গত সপ্তাহে আগ্রহ দেখান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। কেসিএনএ জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় হটলাইন পুনস্থাপন করা হবে। তবে সিউলকে আন্তঃ সীমান্ত সম্পর্ক পুররুদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু এর কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়াকে দ্বৈত নীতি পরিহারের আহবান জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। কেসিএনএ বলেছে, ‘উত্তর-দক্ষিণের সম্পর্ক ঠিক পথে আনতে দক্ষিণ কোরিয়ার উচিত ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মীমাংসা করা, যাতে অবশ্যই ভবিষ্যতের সমৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’ উত্তর কোরিয়া নিরাপত্তা সংকটের হুমকি দেওয়ায়ন এবং একাধিক নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোয় সম্প্রতি কোরীয় উপদ্বীপে অস্থিতিশীলতা বেড়েছে। অপরদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দ্বিমুখী নীতিতে বিশ্বাসী বলে নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি দেশটির মিসাইল উৎক্ষেপণ নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এই প্রেক্ষিতে শুক্রবার আলোচনায় বসে নিরাপত্তা পরিষদ। এই আলোচনার অনুরোধ জানায় যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার বিমান বিধ্বংসী মিসাইল পরীক্ষার একদিন পরেই এই আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জো চুল সু বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের এমন বৈঠক আসলে উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে অনাকাক্সিক্ষত সীমালংঘন। এটি একটি গুরুতর উস্কানি। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যৌথ সামরিক মহড়া চালায় তখন নিরাপত্তা পরিষদ চুপ থাকে অথচ উত্তর কোরিয়া যখন নিজেকে নিরাপদ রাখতে মিসাইল পরীক্ষা চালায় তখন তা নিয়ে বৈঠকে বসে যায়। এটি জাতিসংঘের কার্যক্রমে নিরপেক্ষতার অভাব, বস্তুনিষ্ঠতা না থাকা ও ভারসাম্যহীনতার অভাবের প্রমাণ। জো চুল সু-এর এই বক্তব্য প্রচার করে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ যদি এভাবে উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব নিয়ে কথা বলা চালিয়ে যায় তাহলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।