পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
কয়েক বছর যাবত লাগাতার বলা হচ্ছে, দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়েছে। বাস্তবে তা সত্য নয়। পত্রিকায় প্রকাশ, দেশে খাদ্যশস্য (চাল ও গম) আমদানি বেড়েই চলেছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে আমদানিকৃত খাদ্যের পরিমাণ ছিল ৩৪.৫৪ লাখ টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৬.৫৬ লাখ টনে (এর মধ্যে গম ৫৩ লাখ মে.টন)। অন্য এক খবরে প্রকাশ, ‘কয়েক বছর ধরেই খাদ্য (চাল ও গম) আমদানি বাড়ছে। এক দশক আগেও দেশে আমদানি নির্ভরতার হার ছিল এক অংকের ঘরে। কিন্তু ছয় বছর ধরে তা দুই অংকের ঘরে রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে তা বেড়ে ২০% ছাড়িয়ে যাবে।’ এ ব্যাপারে বিআইডিএস’র সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. আসাদুজ্জামানের অভিমত হচ্ছে: ‘খাদ্যের কৌশলগত মজুদের জন্য আমদানি করা যেতে পারে। তবে সেটা কোনোভাবেই মোট উৎপাদনের ১০ শতাংশের বেশি নয়। মোট আমদানির পরিমাণ মোট উৎপাদনের ২০ শতাংশের বেশি হলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হবে।’ চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত ১৭ লাখ মে.টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, গম আমদানি তো রয়েছেই। বছরে ৫০ লাখ মে.টনের অধিক গম আমদানি করতে হয়। খাদ্যপণ্যের বাকিগুলোর বেশিরভাগই আমদানিনির্ভর।
খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন নিয়ে সম্প্রতি এক সভায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রীর মধ্যে বাহাস হয়েছে। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন করলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে খাদ্য আমদানি করতে হয় কেন? খাদ্য উৎপাদনের হিসাব যা বলা হয় তা সঠিক নয়।’ প্রতিত্তোরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদনের তথ্য সঠিক। লোক গণনার তথ্য সঠিক নয়।’ হ্যাঁ, দেশে সরকারি তথ্যের ব্যাপক গোঁজামিল রয়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই। সর্বোপরি তথ্যগুলো হালনাগাদ নয়। তাই প্রচারিত তথ্যকে দেশ-বিদেশের কেউই বিশ্বাস করে না। তবুও ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাজেট প্রণয়ন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। ফলে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্ভুল ও হালনাগাদ তথ্য আবশ্যক।
বিপুল পরিমাণে খাদ্য আমদানির প্রধান কারণ হচ্ছে, দেশে খাদ্য উৎপাদনের হার খুব কম। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী গত ১ সেপ্টেম্বর বলেছেন, ‘বর্তমানে হেক্টর প্রতি চাল উৎপাদন বাংলাদেশে ২.৭৪ টন, জাপানে ৫ টন, চীনে ৬.৫ টন, ভিয়েতনামে ৫.৮৪ টন।’ অর্থাৎ দেশে চাল উৎপাদন হার অন্য দেশের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। এটা শুধুমাত্র চালের ক্ষেত্রেই নয়, কৃষির সব পণ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এর প্রধান কারণ, অধিক উৎপাদনশীল বীজ ব্যবহার না করা। খবরে প্রকাশ, ‘বর্তমানে মোট জমির হাইব্রিডের আবাদ হচ্ছে বাংলাদেশে ১০% আর চীনে ৬০%। দেশের খাদ্য ঘাটতির দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, ফসলের প্রায় ৩০% নষ্ট ও অপচয় হয়। এ তথ্য আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা সংস্থাসমূহের। এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্যও তাই। ব্রিরও ‘ডাবলিং রাইস প্রোডাক্টিভিটি ইন বাংলাদেশ: আ ওয়ে টু অ্যাচিভিং এসডিজি২ অ্যান্ড মুভিং ফরোয়ার্ড’, শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন মতে, ‘২০১১-১৬ সময়ে শুধু উৎপাদন পর্যায়েই ধানের গড় ফলন নষ্ট হয়েছে ২০.৬৭%। আর ২০১৬-২০ সময়ে নষ্ট হয়েছে ১৮.৮৩%। এর মধ্যে ৪৪.৭৩% ব্যবস্থাপনায়, ১৯.৬৫% প্রাকৃতিক দুর্যোগে, ২০.২৯% কৃষকের জ্ঞানের স্বল্পতায় ও ১৫.৩৪% জাতের দুর্বলতায়। অথচ, চীন ও জাপানে ধানের ফলন নষ্ট হওয়ার হার মাত্র ৫%।’ এছাড়া, দেশে খাদ্যপণ্যের পচে যাওয়ার পরিমাণ ১০% এর মতো। এভাবে বাংলাদেশে প্রতিবছর এক কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে বলে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স-২০২১-এ বলা হয়েছে। একই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এই খাদ্য নষ্ট হচ্ছে জমি থেকে সংগ্রহ, সংরক্ষণের দুর্বলতা ও অব্যবস্থাপনা এবং সচেতনতার অভাবে পরিবহন, সরবরাহ ও খুচরা বিক্রি পর্যায় থেকে। খারাপ বীজের কারণেও দেশে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে অনেক। এসব নানা কারণে দেশে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে খাদ্যশস্য আমদানি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে, পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব প্রকট। গত মার্চে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট মতে, প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্যের পেছনে ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা নেই বাংলাদেশের ৪৬% পরিবারের। দৈনিক খাদ্য তালিকায় শক্ত খাবার, সবজী, গাড় সবুজ পাতার শাক, ফল, আমিষ, দুধ, চর্বি ও তেল থাকতে হয়। কিন্তু দেশের ৪৬% পরিবারের সেই সক্ষমতা নেই। সম্ভবত এই হার এখন প্রায় ৭০% হয়েছে খাদ্যপণ্যের মূল্য ব্যাপক বৃদ্ধি ও করোনায় মানুষের উপার্জন কমে যাওয়ায়। উল্লেখ্য যে, দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গ্লােবাল ফুড সিকিউরিটি ইনডেস্ক-২০২০’ সূচক মতে, ১১৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪তম। ২০১৯ সালে অবস্থান ছিল ৮৩তম। অর্থাৎ খাদ্য নিরাপত্তায় দেশের অবনমন হয়েছে। চলতি বছরের সূচকে আরও অবনমন হতে পারে। সব মানুষের সারাবছর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার প্রাপ্তির শারীরিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে খাদ্য নিরাপত্তা বলা হয়।
এই অবস্থায় ব্রি গত ১ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশে চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ বৃদ্ধিকরণ (ডিআরপি)’ শীর্ষক কৌশল পত্র প্রকাশ করেছে। সে মতে, ‘২০৫০ সালে চালের উৎপাদন ৬.৮ কোটি টনে উন্নীত করা ও উদ্বৃত্ত চালের পরিমাণ ৬৫ লাখে উন্নীত করা। উন্নত জাত, পতিত ও অনাবাদী জমি চাষের আওতায় আনা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বিদ্যমান উৎপাদন গ্যাপ হ্রাস, ব্যাপক হারে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নিশ্চিত করা, ধানের গুণগত মান বৃদ্ধি, ধান ও চালের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা ও ধান উৎপাদনের ঝুঁকি কমানো এবং সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।’ সম্প্রতি ব্রির মহাপরিচালক বলেছেন, ডিআরপি বাস্তবায়িত হলে আমরা ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন করব এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হব। কিন্তু স্বপ্ন দেখা, পরিকল্পনা করা এবং এসব বাস্তবায়ন করা এক নয়।
দেশে ক্রমশ মানুষ বাড়ছে, ফসলের জমি কমছে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের কু-প্রভাব তো রয়েছেই। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে দেশে কৃষির উৎপাদন হার দ্বিগুণ ও অপচয়-নষ্ট বন্ধ করতে হবে। নতুবা সুষম খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জিত হবে না। বিপুল পরিমাণে খাদ্য আমদানি অব্যাহতই থাকবে। তাতে করে কাক্সিক্ষত উন্নতি চরমভাবে ব্যাহত হবে। উৎপাদন হার দ্বিগুণ করার জন্য কৃষির শতভাগেই সর্বশেষ উদ্ভাবিত হাইব্রিড ব্যবহার করতে হবে। এ লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক ব্যাপক প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণ দরকার। তাহলেই মোট উৎপাদনের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পেয়ে মূল্যও হ্রাস পাবে অনেক। উপরন্তু পুষ্টিসমৃদ্ধ পণ্য উৎপাদনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য কৃষির আওতা বহির্ভূত সব জমিকে কৃষির আওতায় আনতে হবে এবং সব কৃষি জমিকে সেচের আওতায় আনতে ও সব সেচ মেশিন বিদ্যুৎ চালিত করতে হবে। এছাড়া, এক ফসলি জমিতে একাধিক ফসল ফলাতে হবে। বিএসবি’র তথ্য মতে, দেশে মোট আবাদি জমি ৮৫.৭৭ লাখ হেক্টর। এর মধ্যে তিন ফসলি জমি ১৭.৬৩ লাখ হেক্টর, দুই ফসলি জমি ৩৯.১৪ লাখ হেক্টর ও এক ফসলি জমি ২২.৫৩ লাখ হেক্টর। কৃষিমন্ত্রী গত ১২ সেপ্টেম্বর বলেছেন, দেশের প্রায় ২৫% এলাকা হচ্ছে উপক‚লীয় এলাকা। লবণাক্ততার কারণে এ এলাকায় আমন ধান তোলার পর বছরের বাকি সময়টা জমি অলস পড়ে থাকত। এই জমিতে কৃষি বিজ্ঞানীরা ধান, ডাল, তরমুজ, আলু, ভুট্টা, বার্লি, সূর্যমুখী, শাকসবজিসহ অনেক ফসলের লবণাক্ততাসহিষ্ণু উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। এখানে বছরে কীভাবে দুই বা তিনবার ফসল চাষ করা যায়- সেলক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে। এটিকে আরও সম্প্রসারিত করা হবে, যাতে এ এলাকায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা যায়। এ ক্ষেত্রে সফল হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কৃষি বিপ্লব সাধিত হবে। অন্যদিকে, পাহাড়ি অঞ্চলে ইদানীং অনেক কৃষি কাজ হচ্ছে। ফলনও ভালো। এটা ব্যক্তি পর্যায়ে ও বিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছে। এটা পরিকল্পিতভাবে হলে এবং সরকারি উৎসাহ ও সহযোগিতা পেলে সেখানে কৃষির ব্যাপক উন্নতি হবে। হাওর-বাওর অঞ্চলে একাধিক ফসল ফলাতে পারলে এবং মাছের চাষ ভালভাবে করতে পারলে অনেক উন্নতি হবে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তিস্তার দুই পাড়ের কৃষিতে নব দিগন্তের সূচনা হবে।
দেশে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের দ্বিতীয় প্রধান উপায় হচ্ছে, খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়া বন্ধ করা। সে জন্য প্রয়োজন কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকরণ করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষি যান্ত্রিকরণে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, অপচয় হ্রাস পায় ৩০% ও ব্যয় হ্রাস পায় ৪০%। এছাড়া, সব খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে নষ্ট হওয়া ও পচে যাওয়া বন্ধ হবে এবং পরিবহন সহজতর ও ব্যয় হ্রাস পাবে। উল্লেখ্য যে, সারাবিশ্বেই বিপুল পরিমাণে খাদ্য নষ্ট হয়। তাই এটা বন্ধ করার জন্য প্রতিবছর আন্তর্জাতিক খাদ্য নষ্ট নিয়ন্ত্রণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবার গত ৯ সেপ্টেম্বর চীনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল: ‘খাদ্য নষ্ট কমিয়ে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’ এ ব্যবস্থা দেশেও করতে হবে। বারির ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাসুদ আলম পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, রসুন, আদা ইত্যাদি ১৮ ধরনের মসলার গুঁড়া, স্লাইস কিংবা পেস্ট বা সস-আচার ইত্যাদি তৈরি ও পলি ব্যাগে মোড়ক জাত করার নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। এতে দেশে মসলার অপচয় ৩০% রোধ হবে। স্বাদ ও গুণগত মান অক্ষুণ্ণ থাকবে। এসব দু’তিন বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। ভোক্তা ও উদ্যোক্তারা সহজেই এসব কাজ করতে পারবেন বলে খবরে প্রকাশ। এরূপ ব্যবস্থা তথা প্রয়োজনীয় কোল্ড স্টোরেজ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে কৃষি প্রতিটি পণ্যের জন্যই। এ ক্ষেত্র স্বল্প সুদে তথা ২% সুদে চাহিদা মাফিক ব্যাংক ঋণ প্রদান করা হলে এ শিল্প প্রতিষ্ঠার হিড়িক পড়ে যাবে। কৃষিমন্ত্রী গত ২২ সেপ্টেম্বর বলেছেন, কৃষির উৎপাদন যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে প্রক্রিয়াজাত ও মূল্য সংযোজন করে কৃষির শিল্পায়ন না করতে পারলে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির রূপান্তর ঘটবে না। এছাড়া, ‘জাতিসংঘ ফুড সিস্টেমস সামিট ২০২১-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী একটি ‘স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা’ গড়ে তোলার এবং খাদ্যের অপচয় হ্রাস করার আহবান জানিয়ে পাঁচ দফা সুপারিশ পেশ করেছেন।
দেশের কৃষিজাত পণ্যের রফতানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৫ কোটি ডলার।আর ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ১০৩ কোটি ডলার। বহু দেশে এখন কৃষিজাত পণ্য রফতানি হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে হালাল পণ্যের আন্তর্জাতিক বিশাল বাজার-২ ট্রিলিয়ন ডলারের অধিক। এই বাজারের কিয়দংশ ধরতে পারলে রপ্তানি আয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে পারবে কৃষি জাত পণ্য। দেশে এখন হালাল পণ্যের সনদ দিচ্ছে বিএসটিআই। হালাল বাণিজ্যে অগ্রগতি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়া। তাছাড়া, অর্গান ফুডের চাহিদা বাড়ছে ব্যাপক হারে। তাই এদিকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। যা’হোক, এলডিসি উত্তোরণ শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকে। তখন বড় রকমের একটি সংকট সৃষ্টি হবে, যা মোকাবেলা করে অগ্রগতি অব্যাহত রাখার প্রধান উপায় হচ্ছে কৃষির উন্নতি।তাই কৃষির সার্বিক উন্নতির দিকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।