Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুসলমান হওয়াটাই আসামে ‘অপরাধ’!

ভারতে মুসলমানদের ওপরে ‘অত্যাচারে’ নিন্দা কুয়েতের এমপিদের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

কুয়েতি জাতীয় পরিষদের সদস্যরা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এবং হিন্দু চরমপন্থী গোষ্ঠীর দ্বারা করা অত্যাচারের নিন্দা জানিয়েছেন। আসামে দরং জেলার প্রত্যন্ত ধলপুর গ্রামে আসামে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার দফায় দফায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে গত কয়েকমাসে। এই গ্রামের যুবক মইনুল হকের ওপরে বর্বরতার ছবি আর তার মৃত্যুর মর্মান্তিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

প্রথমদিকে বলা হচ্ছিল একটি প্রাচীন শিবমন্দিরকে অনেক বড় আকারে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মন্দির সংলগ্ন জমি থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। এধরনেরই একটি উচ্ছেদ অভিযানের সময়ে ২৩ সেপ্টেম্বর আশ্রয়চ্যুতদের বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালায়। স্থানীয় সাংবাদিকরা পুলিশের গুলিতে অন্তত দুজনের মৃত্যু ও আরও বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর জানান। পরে জানা যায়, সেখানে আসাম সরকার একটি কৃষি খামার গড়ে তোলার জন্য তাদের ভাষায়, জমি দখলমুক্ত করতে তারা অভিযান চালিয়েছে। উচ্ছেদের ফলে ভিটে মাটি হারিয়েছেন স্থানীয় বহু বাসিন্দা। সেখানে মানুষ কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন তা দেখতে গিয়েছিলেন বিবিসি বাংলার সাংবাদিকরা। প্রথমেই তাদের চোখে পড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা টিনের সারি। সেগুলো আসলে কোনও বাড়ির টিনের ছাদ ছিল। যখন উচ্ছেদ অভিযান চলেছে এই গ্রামগুলোতে, যখন ভাঙা পড়েছে বসতবাড়ি, এই ঢেউ টিনের ছাদগুলোকেই মানুষ সরিয়ে নিয়ে এসেছেন। তার তলাতেই কোনমতে মাথা গুঁজে থাকা। কয়েকটা থালা বাসন, একপাশে জড়ো করে রাখা কয়েকটা বালতি, বিছানা-তোষক। টিনের চালগুলোর বাইরে পড়ে আছে ভাঙা, পোড়া আলমারি, টিনের ট্রাঙ্ক।

ধলপুরের মানুষের সংসার বলতে আপাতত এইটুকুই। জ্যোৎস্না বানু নামের এক গ্রামবাসী বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘কাল রাতে খুব ভয় লাগছিল। খুব ঝড় বৃষ্টি হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল টিনের চালটা বোধহয় উড়েই যাবে। বাইরেও বেরনোর উপায় নেই। জলের মধ্যেই বাবা মা বোনেদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলাম সারারাত।’ ক্লাস নাইনে পড়েন জ্যোৎস্না। জ্যোৎস্নারা যেখানে আশ্রয় নিয়েছে, তার আশপাশে আরও অনেকগুলো টিনের চালের আস্তানা। একটার ভেতরে দেখলাম খাট পেতে মশারি টাঙিয়ে এক সদ্যজাত শিশুকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। তাদের ওই টিনের চালের নিচে জ্যোৎস্নার মা আনোয়ারা বেগম একটা অ্যালমুনিয়ামের কানা উঁচু থালা থেকে কয়েক মুঠো ভাত চারটে থালায় বেড়ে দিচ্ছিলেন। ‘দ্যাখেন, এই কয় মুঠ ভাত। শুধুই শুকনা ভাত। লবণ, ত্যাল কিসুই নাই। সরকার তো খ্যাদায় দিল, কিন্তু কোনও সাহাইয্য আর করল না,’ বলেন তিনি। একজনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কী এমন হয়েছিল যে পুলিশ একেবারে গুলি চালিয়ে দুজনকে মেরে দিল? তার কথায়, ‘প্রথম দুদিন তো কোনও সমস্যা হয়নি। সরকার বলেছিল আমাদের থাকার জায়গা দেবে, আমরা নিজেরাই সরে এসেছিলাম। সেদিন একটা ধর্নায় বসেছিলাম আমরা। বাইরের কেউ ছিল না কিন্তু। সেখানে ছিলেন জেলার এস পি সাহেবও। শান্তি মতই আলোচনা হল। তিনি বললেন তোমরা ঘরে চলে যাও। কজনকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিও, আমি কথা বলে নেব। সেই মতো সবাই চলেও গিয়েছিলাম। হঠাৎই পূব দিক থেকে গুলির আওয়াজ পাই। সেই দিকে যেয়ে দেখি এক গর্ভবতী মহিলার হাতে গুলি লেগেছে। সেই শুরু।’

শুধু যে গুলি চলার দিন সকালে আলোচনা হয়েছিল সরকার আর গ্রামবাসীদের মধ্যে, তা নয়। বেশ কয়েক মাস ধরেই আলোচনা হচ্ছিল এই উচ্ছেদ আর তার পরের পুনর্বাসন নিয়ে। সরকারের দাবি এই জমি তাদের। গ্রামবাসীরা দখলকারী। তাই তাদের সরে যেতে হবে। ‘কেন এটা সরকারি জমি হবে? আমাদের পূর্বপুরুষরা উচিত দাম দিয়ে এই জমি কিনেছিল। সেই দলিলও আমাদের কাছে আছে,’ বলছিলেন আজিরুন্নেসা নামের এক নারী। ‘সরকার যে বলছে এক প্রাচীন শিবমন্দিরের জমিও আপনারা দখল করে রেখেছিলেন?’, এই প্রশ্নের উত্তরে আজিরুন্নেসা জবাব দেন, ‘ওই শিবমন্দির থেকে আমাদের গ্রাম পাঁচ কী ছয় কিলোমিটার দূরে। আমরা ওদিকে যাইও না। আর যদি মন্দিরের জমি খালি করতে হতো, তাহলে আমাদের ঘর ভাঙল কেন সরকার?’ গ্রামে ঘুরে সাংবাদিকরা জানতে পেরেছেন যে, ওই মন্দিরের জমি দখল নিয়ে যে বিতর্ক ছিল, তা মিটে গেছে অন্তত চার মাস আগে। মন্দিরটির জমি যে ১০-১২টি পরিবার বেআইনিভাবে দখল করেছিল, তারা সরে গেছে মন্দির এলাকার বাইরে আর এখন মন্দিরের জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে, জানালেন গ্রামবাসীরা। বোঝাই যায় যে, মন্দিরের জমি বেআইনি দখলমুক্ত করার সঙ্গে ধলপুরের উচ্ছেদের কোনও সম্পর্কই নেই। গ্রামের মানুষ আরও বলেন, শুধু যে জমির মালিকানার দলিল তাদের কাছে আছে, তাই নয়। তারা নিয়মিত খাজনাও দিয়ে এসেছেন ২০১৫ সাল পর্যন্ত। তারপরেই এটা সরকারি জমি না ব্যক্তিগত, তা নিয়ে বিতর্ক বাঁধায় আর খাজনা দেন না তারা। তবুও গ্রামবাসীরা সরে যেতে রাজি ছিলেন পুনর্বাসন পেলে।

গুয়াহাটির কলামিস্ট বৈকুণ্ঠ গোস্বামী বলছিলেন, ‘ওখানে একটা বড় কৃষি ফার্ম করবে সরকার। ভাল কথা। কিন্তু এতগুলো মানুষকে উচ্ছেদ করছে, এই মানুষগুলো যে কোথায় যাবে, তার কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। আর এই বিষয়টাও ভাবার মতো, শুধু কিন্তু মুসলমান এলাকাগুলোতেই উচ্ছেদ করা হচ্ছে।’ কিন্তু সেই উচ্ছেদ অভিযানে ঠিক কেন গুলি চলল, কেন দুজন গ্রামবাসী নিহত হলেন, তা স্পষ্ট নয়। সরকার বলছে তারা বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। আবার একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল এটাও বলছে, ‘হাজার দশেক লোক জড়ো করে দা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করলে কি তারা চুপ করে থাকবে?’ স্বামীর বুকে আর পায়ে সেই গুলির চিহ্ন সেদিন রাতে দেখতে পেয়েছিলেন মইনুল হকের স্ত্রী মমতাজ বেগম। ধলপুরের উচ্ছেদ হওয়া মানুষরা সুতা নদীর অন্যপাড়ে যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন, সেখানে তাদের ভিটে বাড়ির টিনের চালের নিচে, তারই একেবারে শেষ প্রান্তে সাংবাদিকরা গিয়েছিলেন মইনুল হকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। ভেতর থেকে একটানা বিলাপ করে কান্নার শব্দ আসছিল। ছেলে হারানো মা আর স্বামী-হারা মমতাজ বেগমকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন আত্মীয় পরিজন, প্রতিবেশীরা। মইনুলের মা বিশেষ কথাই বলতে পারলেন না। একটু ধাতস্থ হয়ে মমতাজ বেগম বলেন, ‘সেদিন বেলা এগারোটার দিকে শেষবার দেখেছিলাম স্বামীকে। তারপর তো রাতে আবার দেখলাম। ওর বুকে গুলি লেগেছিল, আর পায়ে। ওর ওপরে যেভাবে একটা লোক ঝাঁপিয়েছে, লাথি মেরেছে, ওর শরীরটা নীল হয়ে গিয়েছিল।’

প্রথম যে ছাত্রীটির সঙ্গে কথা হয়েছিল, ফেরার সময় সাংবাদিকদের দেখা হয় তার বাবা মজিদ আলির সঙ্গে। তিনি দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছিলেন এনআরসিতে যে তার নাম আছে, সেই কম্পিউটার প্রিন্ট আউট। ‘দেখুন তালিকায় প্রথম নামটাই আমার। আমি বা আমরা গ্রামের কেউ তো এখানকার বাসিন্দা। কেউ বাংলাদেশি নই, কেউই বহিরাগত নই। তবুও সেসবই বলা হচ্ছে আমাদের নামে। আসলে আমাদের দোষ একটাই, এটা আমরা খুব ভাল করে বুঝে গেছি। আমরা মুসলমান। আমাদের দোষ এটাই।’

এদিকে, কুয়েতের আইন প্রণেতারা বৃহস্পতিবার একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেন, হত্যা, বাস্তুচ্যুত ও পুড়িয়ে ফেলা সহ ভারতীয় মুসলমানদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্যের পরিপ্রেক্ষিতে আইন প্রণেতারা ভারতের মুসলমানদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন। তারা আন্তর্জাতিক, মানবিক, মানবাধিকার এবং ইসলামী সংগঠনগুলোকে অবিলম্বে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ বন্ধ করতে এবং ভারতীয় মুসলমানদের নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর, বিবিসি বাংলা।



 

Show all comments
  • Rifat Ahmed ২ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৫৭ এএম says : 0
    আল্লাহ সহায়
    Total Reply(0) Reply
  • Quazi Pavel ২ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৫৭ এএম says : 0
    অথচ প্রতিবেশী বাংলাদেশের এমপি মন্ত্রীরা এটাকে কোন বিষয়ই মনে করে না।
    Total Reply(0) Reply
  • জা চৌধুরী ২ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৫৭ এএম says : 0
    এক মুসলিম অন্য মুসলমানদের উপর অত্যাচার জুলুম হলে তার নন্দা প্রতিবাদ প্রতিরোধ করা কর্তব্য। যেই মুসলিমরা অন্য মুসলমানদের উপর অত্যাচার জুলুমের নন্দা প্রতিবাদ প্রতিরোধ করে না তারা নামধারী মুসলিম মুনাফিক। আমাদের দেশের মন্ত্রী এমপিরা প্রতিবাদ বা নিন্দা জানাইবে তো দুরে থাক, আমরা করতে গেলে আমাদের কে মেরে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দিবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Gazi Mizanur Rahman ২ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৫৯ এএম says : 0
    · এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আধুনিক যুগে এসেও ধর্মকেন্দ্রিক মানুষকে জুলুম-নির্যাতন মেনে নেয়া যায়? মানুষের প্রথম পরিচয় সে "মানুষ"। তারপর ধর্ম। পৃথিবীর সকল ধর্মের মানুষ সবখানে নিরাপদে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। এটি ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের "Universal Declaration of Human Rights" দ্বারা স্বীকৃত। যাকে বলা হয়- "আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ"। এখানে স্পষ্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এখন কি জাতিসংঘ আর আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাবিশ্ব এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে?
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah Al Faruk ২ অক্টোবর, ২০২১, ১:০০ এএম says : 0
    মানুষের চেয়ে অমানবিক প্রাণী পৃথিবীতে আর একটিও নাই। অথচ, এই মানুষই নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ জীব দাবি করে। হাস্যকর। শত শত ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে একদল মানুষকে অবর্ণনীয় কষ্টে ফেলে, আবার মজা পাচ্ছে মানুষ নামেরই একদল নিকৃষ্ট জীব।এই দৃশ্যের চেয়ে লজ্জাকর দৃশ্য কি পৃথিবীতে আরো আছে!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Kazi Sanaullah Kazi ২ অক্টোবর, ২০২১, ১:০০ এএম says : 0
    একজন গ্রামবাসীর মৃত্যুর ভিডিও সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় ৩৩ বছয় বয়স্ক ময়নুল হক একাই একটা লাঠি হাতে নিয়ে অসমসাহসে মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশকে ধাওয়া করে। পুলিশেরা তাকে ঘিরে ধরে মাটিতে ফেলে দল বেঁধে পেটাতেথাকে। এরপর কয়েকটা গুলির শব্দ শোনা যায়। দেখা যায় হভাগ্য ময়নুল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। এভাবেই শত শত ময়নুলকে ওরা রক্তাক্ত করে লাশের উপর রঙ্গমঞ্চ খেলছে!
    Total Reply(0) Reply
  • Tojammel Al Hoque ২ অক্টোবর, ২০২১, ১:০০ এএম says : 0
    Insha Allah ,অচিরেই যালিমের যুলুমের প্রাচীর ভেংগে দিয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হবে! !
    Total Reply(0) Reply
  • Amijit Dey ২ অক্টোবর, ২০২১, ১:০১ এএম says : 0
    আরেকটা বাস্তব সত্য হলো ভারত বাঙালি দেখতে পারে না, হোক না সে হিন্দু বা মুসলিম, এবং এটা বাস্তব অভিজ্ঞতালব্ধ।
    Total Reply(1) Reply
  • Golam Rabbani ২ অক্টোবর, ২০২১, ১:০১ এএম says : 0
    একটা চরম সাম্প্রদায়ীক রাষ্ট্রের কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায়না.!!!!
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ শহিদুল ইসলাম ২ অক্টোবর, ২০২১, ১:২৮ এএম says : 0
    মুসলিমদের অস্তিত্ব সারা বিশ্বের সব জায়গায় সংকটাপন্ন, কোথাও কেউ ভালো নেই, বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের অজ্ঞতা, স্বার্থপরতা এবং অনৈক্যের কারণে এই সংকট ক্রমান্বয়ে ঘনিভূত হচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ অবস্থা প্রত্যক্ষ করা ছাড়া উপায় নেই। ভবিষ্যৎ মুসলিম প্রজন্মের টিকে থাকা খুবই কষ্টকর হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah ২ অক্টোবর, ২০২১, ৫:৩৯ এএম says : 0
    মুসলমানদের দ্বারা করা সবচেয়ে বড় ভুল ছিল উপমহাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদেরকে তাদের অনুমতি দেওয়া। হিন্দুরা তাদের অতীত ভুলে গেছে। যখন মোগলরা ভারতে শাসন করেছিল তখন হিন্দুরা ভারতে  বেশি শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করেছিল। মুসলিম শাসকরা সে সময় কোন হিন্দুকে হত্যা বা নির্যাতন করেনি।
    Total Reply(0) Reply
  • মো:সুজন মিয়া ২ অক্টোবর, ২০২১, ৭:১৮ এএম says : 0
    মুসলমানদের কোনো মানবাধিকার নেই।বিশ্বের কোথাও অন‍্য কোনো ধর্মের লোক নির্যাতনের শিকার হলে মিডিয়া থেকে শুরু করে সকল প্রকার সংগঠন প্রতিবাদ করে অথচ বিশ্বের দিকে দিকে মুসলিমরা আজ নির্যাতিত অপমানিত কোনো মানবাধিকার সংগঠন এ বিষয়ে কথা বলে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Sujon ২ অক্টোবর, ২০২১, ৭:২০ এএম says : 0
    আল্লাহ্ আর সয় না
    Total Reply(0) Reply
  • amran ২ অক্টোবর, ২০২১, ৯:১৪ এএম says : 0
    আজ বাংলাদেশের চেতনাবাজ আর মানবতা বাদিরা কোথায়? ......রা তো বলবে এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এদেরকে .............. ছাডা কোন ঔষধ নাই
    Total Reply(0) Reply
  • সৈয়দ নজরুল হুদা ২ অক্টোবর, ২০২১, ১০:০০ এএম says : 0
    মুসলমান হওয়াই যদি সাম্প্রদায়িক বি,জে,পির কাছে অপরাধ হয়,তাহলে ও,আই,সি'র উচিত ভারতকে নিন্দা ও বয়কট করা।ইহুদী ও হিন্দুরা বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিধন ও উচ্ছেদ চালাচ্ছে,যা মানবতা বিরোধী।।
    Total Reply(0) Reply
  • মুজাক্কির হুসাইন ২ অক্টোবর, ২০২১, ৯:১১ পিএম says : 0
    মুসলমানদের উচ্ছেদ করে কৃষি ফার্ম করা তার মানে কি ? এর মানে কি এই নয় , তাদের কাছে ফার্মের দাম আছে , কিন্তু কোন মুসলমানের নয় । কারণ , তাদের দোষ একটাই , তারা কেন মুসলিম ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ