বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাইকোর্টে আদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় কারাগারে বন্দি থাকা আসামির সাথে বাদীনীর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বৃহস্পতিবার দুপুরে
হাইকোর্টের আদেশে প্রেক্ষিতে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের দেনমোহর ধরা হয়েছে ২০ লাখ এক টাকা।
কারাগারে বন্দি থাকা হাজতি বর কেএম আক্কাস (৪৫) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার পূর্ব খাটিয়া এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার বাদিনীর (৩৫) বাড়ি ওই একই এলাকায়।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার গিয়াস উদ্দিন জানান, ঢাকার পল্টন থানায় দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় গ্রেফতারকৃত কেএম আক্কাস এ কারাগারে বন্দি আছেন। হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে ওই মামলার বাদিনীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে কারাগারে হাজতি কেএম আক্কাসের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
উভয়পক্ষের একজন করে অভিভাবকের উপস্থিতি ও সম্মতিতে ২০ লাখ এক টাকা দেনমোহর ধার্য করে মামলার বাদী ও আসামির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম থেকে কেএম আক্কাস কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, মামলার বাদিনীর বাড়ি একই জেলায় হওয়ায় পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে প্রেমিকাকে বিয়ে না করে আক্কাস অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনার পর আক্কাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তার প্রেমিকা (৩৫)। পরবর্তীতে এ মামলায় গ্রেপ্তার হন আক্কাস। গ্রেপ্তারের পর আক্কাসকে ডিভোর্স দেন তার স্ত্রী। হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশের ভিত্তিতে (স্মারক নং-৩৮২৯১ তারিখ ১৯/৯/২১) এ বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন কেএম আক্কাস। তিনি চলতি বছরের প্রথম থেকে এ কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।