বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য রেশমা খাতুনকে (৩৮) হত্যার ঘটনায় এক ভ্যান চালক ও এক স্থানীয় মাতব্বরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃতদের ধুনট থানা হাজত থেকে বগুড়ার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মথুরাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত খালেকের ছেলে ভ্যান চালক জুয়েল ও একই গ্রামের মৃত চাঁদ মিয়ার ছেলে মাতব্বর নুরু মিয়া।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের অটো ভ্যান চালক ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে গত ২০ বছর পূর্বে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া এলাকার আলতাফ হোসেনের মেয়ে রেশমা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১০ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে ও ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়ে রয়েছে। ২০১৬ সালে মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭, ৮, ৯নং সংরক্ষিত আসনে নারী ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয় রেশমা খাতুন। এদিকে ১৮ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায় রেশমা খাতুন। কিন্তু এ ঘটনায় গত ৫ দিনেও ধুনট থানায় কোন জিডি বা অভিযোগ করেনি তার স্বামী বা স্বজনেরা। নিখোঁজের ৫দিন পর গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বামীর বাড়ির অদূরে একই ইউনিয়নের কুঁড়িগাতি গ্রামের বস ইটভাটা নামক স্থানের একটি ধান ক্ষেত থেকে ইউপি সদস্য রেশমা আকতারের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ধুনট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে ধুনট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, রেশমা আক্তারের সঙ্গে খুনির পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এই হত্যাকান্ডে ৫ থেকে ৬ জন অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ২ জনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এছাড়া প্রধান খুনিসহ অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।