Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিশুর ক্যান্সার রোধে মাল্টিভিটামিন

| প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

গর্ভাবস্থায় মা মাল্টিভিটামিন খেলে শিশুর ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। উত্তর আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় মাল্টিভিটামিন সেবন সন্তানের নিউরোব্লাস্টোমা নামক স্নায়ুতন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্তদের ঝুঁকি অন্তত এক তৃতীয়াংশ কমে যায়। যদিও গবেষকগণ সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি মূলত কোন ভিটামিনের প্রভাবে এ ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিশুর উপর আরেক গবেষণায় বলা হয়েছে মা গর্ভাবস্থায় মাল্টিভিটামিন খেলে শিশুর ব্লাড ক্যান্সার এবং মস্তিষ্কের টিউমার আক্রান্তের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। ইউনির্ভাসিটি অফ নর্থ ক্যারোলিনার অধ্যাপক এন্ড্রু গুলশান ও তার সগকর্মীরা এবং ইউনির্ভাসিটি অফ টেক্সাসের গবষেকগণ কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৩৯টি হাসপাতালে ভর্তি নিউরোব্লাস্টোমার আক্রান্ত ৫৩৮ জন শিশুকে নিয়ে তাদের গবেষণা শুরু করেন তাদের সঙ্গে তুলনা করা হয় মোটামুটি একই বয়সের সুস্থ ৫০৪ জন শিশুর। সবার মাকে জিজ্ঞেস করা হয় গর্ভাবস্থায় তিনি মাল্টিভিটামিন খেয়েছিলেন কিনা। এ ছাড়া বিবেচনায় নেয়া হয় শিক্ষা আর এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ফ্যাক্টরিগুলোকে অধ্যাপক গুলশান বলেছেন গবেষণার সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, গর্ভাবস্থায় মাল্টিভিটামিন খেলে শিশুর নিউরোব্লাস্টোমার আক্রান্তের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে। তবে এ ব্যাপারে আরো ব্যাপকভাবে গবেষণা করা প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেছেন। মূলত ঠিক কোন ভিটামিন টি এক্ষেত্রে ভূমিকাু রয়েছে তাই খুজে বের করতে হবে। নিউরোব্লাস্টোমা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, নাবালা অবস্থায় এটি সবচেয়ে কমন এবং বাচ্চার বয়স তিন বছরের আগেই এ রোগটি ধরা পড়ে। সাধারণত রোগ নির্ণয়ের পাঁচ বছরের মধ্যেই অর্ধেকের কম রোগী ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে।

গর্ভাবস্থায় অথবা যারা গর্ভবর্তী হতে যাচ্ছে তাদের সবসময়ই বলা হয়ে থাকে ফলিক এসিডসমৃদ্ধ ভিটামিন খেতে। এ ভিটামিন স্নায়ূরজ্জু সংক্রান্ত নানা রোগ এবং স্পাইনা বাইফিডা থেকে শিশুকে রক্ষা করে। কিছু মাল্টিভিটামিনে ভিটামিন এ’র পরিমাণ থাকে বেশি। যা কিনা হিতে বিপরীত হতে পারে। এ জন্য গর্ভবর্তীদের ভিটামিনের মাত্রা সম্বন্ধে জেনেই মাল্টিভিটামিন খেতে উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শিশু ক্যান্সারের শতকরা ৮ ভাগ হলো নিউরোব্লাষ্টোমা। এড্রেনাল গ্রন্থ ও বুকের লসিকা গ্রন্থের ক্রমবর্ধমান কোষে এ রোগের উৎপত্তি হয়। রোগটি দ্রুত ছড়াতে থাকে। অর্ধেকের বেশি রোগীর ক্ষেত্রে হাড়ে চলে না আসলে রোগটি সাধারণত ধরা পড়ে না। এক সময় কোন চিকিৎসাই কাজে আসে না। খুব ভালভাবে চিকিৎসার পরও মাত্র ২৫ থেকে ৩০ শাতংশ ক্ষেত্রে রোগটিকে ভাল করা যায়।

ড. তানিয়া নাসরীন
মিরপুর, ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাল্টিভিটামিন
আরও পড়ুন