Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শক্তিশালী হচ্ছে লঘুচাপ, দক্ষিণ উপকূলজুড়ে আতংক

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:১৮ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকায় হাল্কা থেকে মাঝারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উপকূলীয় নদ নদীর পানি ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করেছে। সাথে বইছে শীতল দমকা হাওয়া। সমুদ্র বন্দর মোংলাকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বন্দরে সতর্কতা জারির পর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলার গুলো নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে শুরু করেছে। সাগর অশান্ত রয়েছে।

এদিকে দুর্যোগের আশংকায় সমগ্র উপকূলের মানুষের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। খুলনার উপকূলীয় এলাকা দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা, বটিয়াঘাটার কয়েক লাখ মানুষ মাঝে শংকা দেখা দিয়েছে। কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে জোয়ারে নদনদীর পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে শত শত ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কয়েক হাজার একর জমির ফসল ও মাছের ঘের তলিয়ে গিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এখনো পুরোপুরি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া ষাট এর দশকে নির্মিত বাঁধগুলো এখন আর পানির চাপ সহ্য করতে পারে না। বেশীরভাগ স্থানে স্বাভাবিক সময়ে নদীর পানির উচ্চতা ও বাঁধের উচ্চতা প্রায় সমান হয়ে গিয়েছে। এসব কারণে ঝড়ঝঞ্ঝার আশংকা দেখা দিলেই উপকূলের মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়ে। খুলনার উপকূলীয় এলাকার খবর নিয়ে জানা গেছে, বিকেল থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। আকাশে রয়েছে মেঘের ঘনঘটা। আশংকা করা হচ্ছে, আগামী দুদিন এই মেঘ ভারী বৃষ্টি ঝরাবে।

সূত্র জানায়, প্রতি বছর মার্চ থেকে মে এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দুর্যোগ মৌসুম। স্মরণাতীতকালের ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হেনেছিল ২০০৭ এর ১৫ নভেম্বর। আইলা আঘাত হানে ২০০৯ এর ২৫ মে। এছাড়া ১৯৯১ এর ২৯ ও ৩০ এপ্রিল ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে উপকূলে। লঘুচাপ, নিম্নচাপ হলেই সাগর ও নদনদীতে পানি বাড়ে। প্রাথমিক বিপর্যয় দেখা দেয় দুর্বল উপকূলীয় বেড়িবাঁধে। বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে যায় ঘরবাড়ি ফসলের জমি, মাছের ঘের। দুই তিন দিন টানা বৃষ্টি হলে গাছগাছালীর শিকড়ের সাথে মাটির বন্ধন নরম হয়ে পড়ে। ফলে মাঝারী ধরণের ঝড়ো হাওয়া বইলে গাছপালা উপড়ে পড়ে। ঝড়কে বাঁধা দিতে পারে না। এরপর বাতাসের প্রচন্ডতায় ঘরবাড়ি সব উড়ে যায় হাল্কা তুলার মত।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ জানান, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তায় দেশে এখন বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে।উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর ফলে অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ