পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইমাম হুসাইন (রা.) ‘শারাফ’ পৌঁছলেন
একে এম ফজলুর রহমান মুনশী : এগিয়ে চললো কাফেলা। দেখা হলো একজন বেদুঈনের সাথে। ইমাম হুসাইন (রা.) বেদুঈনদের সামনে ভাষণদান করে বললেন, ‘ভাইসব’ কুফাবাসীরা আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমাকে সর্বাত্মক সাহায্য দানের আশ্বাস দিয়ে সকলেই সরে পড়েছে। সততা, নিষ্ঠা ও ওয়াদা পূরণের কোন নজীর তাদের মাঝে দেখা যাচ্ছে না।
ইবনে যিয়াদ আমার প্রেরিত দূত মুসলিমকে হত্যা করেছে এবং একই সাথে হানীবিন ওরওয়াকেও হত্যা করা হয়েছে। সুতরাং আমার এই দুর্দিনে যদি তোমরা আমার পাশে দাঁড়াও, তাহলে আল্লাহ পাক তোমাদের প্রতি রহম দান করবেন।” এই কথা শোনার পর গুটিকয়েক লোক ছাড়া বিভিন্ন গোত্র ও বেদুঈনের অনেকেই নীরবে সরে যেতে লাগলো। শেষ পর্যন্ত ইমাম হুসাইন (রা.)-এর সঙ্গে নিজ বংশের লোকজন ছাড়া সকলেই কেটে পড়লো। তিনি কেমন যেন আনমনা হয়ে পড়লেন। কাফেলা তারপর ‘জাবালা’ অতিক্রম করে আকাবা নামক স্থানে এসে উপস্থিত হলো। সেখানে বনু একরামার জনৈক সর্দার ইমাম হুসাইন (রা.) কে লক্ষ্য করে বললো, ‘হযরত’ এখনো সময় আছে, আপনি মদীনা ফিরে যান। সামনে অগ্রসর হওয়া কিছুতেই সঙ্গত নয়। কুফায় আপনি যা পাবেন তাহলো তলোয়ার, বর্শা ও বল্লমের নিদারুণ আঘাত। আপনার শত্রুরা চক্রান্তের যে কুটিল জাল বিস্তার করে রেখেছে সে জালে ধরা পড়লে আর নিস্তার নেই। আপনি আর মোটেও অগ্রসর হবেন না। কথা শুনে ইমাম হুসাইন (রা.) নীরবে কী যেন ভাবলেন। তারপর করুণ কণ্ঠে বললেন, ‘প্রিয় সর্দার’ অদৃষ্টে যা আছে তা খ-ন করা যায় না। আমি আল্লাহ পাকের নির্দেশ পালন করে যাবো। এতে পিছপা হবার জো নেই।” সবশেষে ইমাম হুসাইন (রা.) সদলবলে ইরাকের ‘শারাফ’ নামক স্থানে পৌঁছলেন এবং সেখানেই তাঁবু ফেলার নির্দেশ দিলেন। সুদূর মক্কা হতে শুরু করে ইরাক পর্যন্ত একটানা পথযাত্রার ফলে কাফেলার সকলেই পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছিল।
সকলেই তাঁবু স্থাপনে ব্যস্ত। হিজরী ৮১ সালের ১ মুহররম। কাফেলার সকলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলায় ব্যস্ত। এমন সময় দূরে বহু দূরে একদল অশ্বারোহী দেখা গেল। তৎক্ষণাৎ তারা তাঁবু গুছিয়ে ফেললেন। যোহায়েব বিন কাইয়োন এমনভাবে তাঁবু সন্নিবেশ করলেন যেন পশ্চাৎদিক, দক্ষিণ এবং উত্তর দিক হতে পাহাড় অতিক্রম করে তাঁবু আক্রমণ করতে না পারে। ক্রমে অশ্বারোহী বাহিনী নিকটে চলে আসলো। দেখা গেল হোর বিন ইয়াজিদ তামিমী সহ¯্রাধিক অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে তাঁবুর সন্নিকটে এসে পথ রোধ করে দাঁড়িয়েছে। সূর্যের খরতাপে হোর-এর বাহিনী পিপাসার্ত হয়ে পড়েছিল। ইমাম হুসাইন (রা.) তাদের পানি পান করালেন। তাদের সাথে বিনম্র ব্যবহার করলেন। শত্রু জেনেও তাদের প্রতি কোন কটূক্তি করলেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।