পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফরিদপুর-বরিশাল-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়কটি ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি নতুন জটিলতায় অনিশ্চয়তার কবলে পড়তে যাচ্ছে। বিগত প্রায় দেড় যুগ ধরে আশা-নিরাশার দোলাচলে ঘুরপাক খাচ্ছে প্রকল্পটি। এ লক্ষ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ‘টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্স ফর সাব-রিজিওনাল রোড ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট প্রিপারেটরি ফেসিলিটিজ’ এর আওতায় সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন সম্পন্ন হলেও বিদ্যমান মহাসড়কটি ৪ লেনে উন্নীত হবে, নাকি সম্পূর্ণ নতুন মহাসড়ক নির্মিত হবে, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিশাল ব্যয়বহুল এ প্রকল্পে অর্থের সংস্থান না হওয়ায় বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তার মধ্যেই নতুন জটিলতা পুরো বিষয়টিকে বিলম্বের দিকে ঠেলে দিতে যাচ্ছে।
তবে দেশীয় তহবিলে ফরিদপুর থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত প্রায় ২৩২ কিলোমিটার বিদ্যমান মহাসড়কটি ৪ লেনে উন্নত করার লক্ষ্যে জমি হুকুম দখলে প্রায় দু’হাজার কোটি টাকার একটি ভিন্ন প্রকল্প একনেক অনুমোদন দিয়েছে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ফরিদপুর থেকে বরিশাল-পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কের বিদ্যমান ভূমির দু’পাশে অতিরিক্ত প্রায় ৩০২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করার কথা। গত বছরের জুনের মধ্যে এ ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করার কথা থাকলেও এখনো তার ২৫ ভাগ কাজও শেষ হয়নি।
এরই মধ্যে বিদ্যমান ২৪ ফুট প্রসস্ত এ মহাসড়কের জন্য বাড়তি কোন ভূমি অধিগ্রহণ না করে বিদ্যমান মহাসড়কটির জন্য ১২০ ফুট প্রসস্ত জমিতেই যতটা সম্ভব সড়কের ক্যারেজওয়ে প্রসস্ত করার পাশাপাশি তার মান উন্নয়ন করার প্রস্তাব দিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ৪ লেন মহাসড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিদ্যমান মহাসড়কটি ৪ লেনে উন্নীতকরণে প্রস্তাবিত ব্যয়ের প্রায় ৪০ ভাগ অর্থ সাশ্রয় হবে বলে মনে করছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তবে নতুন এ ধারণার বিষয়ে এখনো কোন নেতিবাচক মনোভাব দেখায়নি সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়সহ পরিকল্পনা কমিশনও।
ফরিদপুর থেকে বরিশাল পর্যন্ত ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের ৮ নম্বর জাতীয় মহাসড়কটি ৪ লেনে উন্নীতকরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ২০০২ সালের দিকে। ২০১২ সালে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা স্থাপনের কাজ শুরুর পরে পায়রা ও কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কটিও চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মহাসড়কটি কুয়াকাটা পর্যন্ত ৪ লেনে উন্নীত করলে পায়রা বন্দরসহ পর্যটন কেন্দ্রটির সড়ক যোগাযোগ নির্বিঘ্নকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সড়ক অধিদফতরের একাধিক সূত্রের মতে, মহাসড়কটি ৪ লেনে উন্নীতকরণের পদক্ষেপ খুব জোড়ালোভাবে আগাচ্ছে না। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ আরো কয়েকটি মহাসড়কের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণে সরকারের আগ্রহ থাকলেও বাস্তব অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয় বলে মনে করছেন দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষও।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে সবগুলো প্রকল্পেরই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়। অন্য কয়েকটি মহাসড়ক প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হলেও দেশের ৮ নম্বর জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পটির অর্থায়ন সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদন কবে মিলবে তাও অনিশ্চয়তার আবর্তে।
এরই মধ্যে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ব্যয়বহুল এ প্রকল্পটির নকশা নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিশাল ব্যয়বহুল এ প্রকল্প বৈদেশিক ঋণ বা অনুদান ছাড়া বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। যেহেতু এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রকল্পটির সমীক্ষা ও নকশা প্রণয়নে অর্থায়ন করেছে, সেহেতু মূল প্রকল্প বাস্তবায়নেও সেখান থেকে অর্থ সহায়তার আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। বিদ্যমান মহাসড়কটি ৪ লেনে উন্নীতকরণ, না নতুন ৪ লেন মহাসড়ক নির্মাণ, এক্ষেত্রে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি। এক্ষেত্রে যতো কালক্ষেপণ হবে, ততই এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে।
ফরিদপুর থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২৩২ কিলোমিটার মহাসড়কই ৪ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনাসহ এর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন সম্পন্ন করে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা লাভসহ নানা কারণ বিবেচনায় প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুর থেকে বরিশাল পর্যন্ত ১২৪ কিলোমিটার ও দ্বিতীয় পর্যায়ে পায়রা ও কুয়াকাটা মহাসড়কটিও একইভাবে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু নকশা জটিলতা নিরসনসহ অর্থ সংস্থান করে কবে নাগাদ এ মহাসড়কটি চার লেনে উন্নয়নের কাজ শুরু হবে তা বলতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।