নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিখুঁত লাইন-লেংথ আর স্লোয়ার-কাটার তো নিয়মিতই দেখা যায়। সঙ্গে যোগ হলে দারুণ কিছু ইয়র্কারও। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত বোলিং উপহার দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার চার ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটসম্যানরা বাউন্ডারি মারতে পারল না একটিও। বল হাতে আবার আলো ছড়িয়ে রাজস্থান রয়্যালসের পেসার নিলেন ২ উইকেট। গতকাল আবু ধাবিতে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রানে ওই উইকেট দুটি নেন মুস্তাফিজ। রাজস্থানের বিপক্ষে দিল্লি ২০ ওভারে তোলে ১৫৪ রান। তবে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এবার আর পেরে ওঠেনি, প্রথম ম্যাচে রোমাঞ্চ জেতা মুস্তাফিজের দল এদিন ৬ উইকেটে থামে ১২১ রানে। রাজস্থানের হার ৩৩ রানের।
তবে মুস্তাফিজের কল্যাণে দিনটি হতে পারতো অন্যরকম। শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাওয়ার প্লেতে এই কাটার মাস্টার শুরু করেন রাজস্থানের বোলিং আক্রমণ। পৃথ্বী শ ও শিখর ধাওয়ানের বিপক্ষে ৬ রান দিয়ে ওভার শেষ করেন তিনি। পরে দুটি ওভার করেন তিনি ইনিংসের শেষ দিকে। তার পরও একটি বাউন্ডারিও তিনি হজম করেননি।
মুস্তাফিজের দ্বিতীয় স্পেলটি ছিল আরো ভয়াবহ। তাকে বোলিংয়ে আনা হয় দ্বাদশ ওভারে, শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋষভ পন্তের জুটি যখন জমে গেছে দারুণভাবে। ২১ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে শক্ত অবস্থানে নেন এই দুজন। উইকেটের খোঁজে থাকা রাজস্থানের অপেক্ষা শেষ হয় মুস্তাফিজের সৌজন্যে। তার অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট অব লেংথ বলে হুকের মতো খেলার চেষ্টা করেন পান্ত, ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত করে স্টাম্পে। ২৪ রান করা দিল্লি অধিনায়কের বিদায়ে ভাঙে ৪৫ বলে ৬৫ রানের জুটি। মুস্তাফিজ ওভার শেষ করেন ৫ রান দিয়ে।
১৬ ওভার শেষে মুস্তাফিজ আবার আক্রমণে। ব্যাট হাতে তখন ভয়ঙ্কর রূপে শিমরন হেটমায়ার। চেতন সাকারিয়ার ওভারে দুই চার, কার্তিক তিয়াগির এক ওভারে তিনটি মেরে দ্রুত রান বাড়াচ্ছিলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। রাজস্থানের ত্রাতা আবারও মুস্তাফিজ। অফ স্টাম্পের বাইরে তার একটি ইয়র্কারে প্রথমে ব্যাট ছোঁয়াতে ব্যর্থ হেটমায়ার। পরের বলে আরেকটি ইয়র্ক লেংথের বল, এবার হেটমায়ার ব্যাট-বলে করতে পারেন। তবে ওই বলে টাইমিং করাই তো কঠিন। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় থার্ডম্যান ফিল্ডারের হাতে। ৫ চারে ১৬ বলে ২৮ করে ফেরেন বিস্ফোরক এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। ওই ওভার থেকে আসে কেবল ৪ রান।
ইনিংসের শেষ ওভারের দায়িত্বও দেওয়া হয় ডেথ ওভারে ভংঙ্কর তকমা পাওয়া মুস্তাফিজকে। দুটি ডাবল আর তিনটি সিঙ্গেলে এবার কিছুটা ‘খরুচে’ মুস্তাফিজ দেন ৭ রান। সঙ্গে দুটি বাই রান মিলিয়ে ওভার থেকে আসে ৯ রান। ২২ রানে ২ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজ দলের সেরা বোলার। তবে টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারের স্পেলে একটিও বাউন্ডারি হজম না করা, তা-ও আবার আইপিএলে! এই আরব আমিরাতেই ক’দিন পর শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্যই দারুণ কিছুর ইঙ্গিত বাংলাদেশ দলের জন্য!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।