নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হাতের চিকিৎসা করাতে এসে মাত্র ১৯ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী, জাতীয় জুডো দলের খেলোয়াড় ও বাংলাদেশ আনসারের চুক্তিভিত্তিক ক্রীড়াবিদ প্রিয়াঙ্কা আক্তার।
২০১৯ সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে নেপালে বাংলাদেশ জুডো দলের প্রতিনিধিত্বকারী এবং চলতি বছরের এপ্রিলে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে পদকজয়ী জুডোকা প্রিয়াঙ্কা রাজধানীর গ্রিন রোডস্থ গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ইন্তেকাল করেন। কোনো মরণব্যাধি বা বিশেষ রোগ ছিল না প্রিয়াঙ্কার। হাতের এক আঙুলের নার্ভের সমস্যাজনিত অপারেশনের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। প্রিয়াঙ্কার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাতের এই নার্ভের সমস্যা কয়েক বছর ধরেই ছিল তার। এ সমস্যা নিয়েই জুডোতে পদকের পর পদক জিতেছেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আঙুলের নার্ভের চিকিৎসা করাতে অকালে ঝরে গেল তার প্রাণ। হাতের সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গেলে সেখানে তার সব ধরনের পরীক্ষা করা হয়েছে, সেসব রিপোর্টও ভালো। অন্য কোনো সমস্যা তার ছিল না। ফলে তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রিয়াঙ্কার মৃত্যুর বিষয়ে তার স্বামী শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘একদম জলজ্যান্ত একজন ভালো মানুষ, সিম্পল একটা হাতের অপারেশনের জন্য গ্রিন লাইফ হাসপাতালে যায়। শুক্রবার দুপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলে বিকেলে আমাদের জানান প্রিয়াঙ্কার অবস্থা নাকি ভালো না। এরপর সেখান থেকে তার বের হয়।’ তিনি যোগ করেন,‘অপারেশনের আগে যখন তাকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে, তখন সে স্ট্রোক করেছে বা এমন কিছু একটা হয়েছে বলে হাসপাতাল থেকে আমাকে জানানো হয়েছে।’
গ্রিন লাইফ হাসপাতালের অ্যাডমিন অফিসার মো. সোহরাব আলী বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান, প্রিয়াঙ্কার মৃত্যুর বিষয়ে তার পরিবার, জুডো কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কর্তব্যরত চিকিৎসক অধ্যাপক আর, আর কৈরী ও অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান কথা বলেছেন। অপারেশনসহ তার কী সমস্যা হয়েছিল বিস্তারিত ব্রিফ করেছেন তারা।
কখন, কীভাবে মারা যান প্রিয়াঙ্কা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অপারেশনের শেষের দিকে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তারপর হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন থাকাকালীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে মারা যান তিনি। এখানে ভুল চিকিৎসা বা কর্তব্যে অবহেলার কোনো বিষয়ই ছিল না।’
প্রিয়াঙ্কার আকস্মিক মৃত্যুতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকেএসপির সতীর্থরা সবাই শোকাহত। তারা জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কা খুবই মিশুক প্রকৃতির মেয়ে ছিলেন। সব সময় হাসি মুখে সবার সঙ্গে কথা বলতেন। ভালো মানের একজন খেলোয়াড় ছিলেন। জাতীয় পর্যায়ে তার অনেক পদক রয়েছে। ভুল চিকিৎসার কারণে তার মৃত্যু ঘটেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।