পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সোহেল রানার সম্পদের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রাজউক, বিআরটিএসহ বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে দেশে ফেরাতে দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) আরেক দফায় চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এর আগের দুই দফা পাঠানো চিঠির সাড়া না পেয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) তৃতীয় দফায় চিঠি পাঠায় পুলিশ সদর দফতর। তবে এ চিঠি পাঠানোর ছয় দিন অতিবাহিত হলেও এনসিবির পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি। এর আগে বাংলাদেশ পুলিশের এনসিবি শাখা থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম ও ৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত করে চিঠি পাঠানো হয়।
পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) এআইজি মহিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ভারতে গ্রেফতার সোহেল রানাকে ফেরত চেয়ে ৫ ও ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি এনসিবিকে পাঠানো চিঠির সাড়া না পেয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দফায় চিঠি দেয়া হয়েছে। যদিও তিন দফা চিঠির কোনোটিরই জবাব আমরা পাইনি।
পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সোহেল রানা ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন। সে দেশের আইনি বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। তবে আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে যে ধরনের উদ্যোগ নেয়া দরকার সেটা আমরা করছি। তবে সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কার্যকরী উদ্যোগটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেই নিতে হবে। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্দায় ওই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে ধরা পড়েন সোহেল রানা। পরদিন ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়। বিএসএফের হাতে আটক সোহেল রানা গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের কাছে আবেদন করেন গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান। তার আগেই তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যান ও ভারতে গ্রেফতার হন। সোহেল রানাকে বুধবার ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম এরই মধ্যে সোহেল রানার অর্থ-সম্পদের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ (বিআরটিএ) বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি দিয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।