গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি অথবা বিনিয়োগ করা টাকা ফেরতের দাবিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। এ সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। পরে গ্রাহকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাব থেকে মৎস্যভবন গেলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
তার আগে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন ই-অরেঞ্জ গ্রাহকরা। সেখানে ভুক্তভোগী কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যানারে তারা মানববন্ধন করেন। এ সময় কমিটির আহ্বায়ক আফজাল হোসেন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন।
মিছিলে তারা পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা ও ক্রিকেটার মাশরাফির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-কমার্সের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন ই-অরেঞ্জ গ্রাহকরা। আন্দোলনকারীরা জানান, মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে তাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ তাদের কয়েকজনকে আটক করে।
এ বিষয়ে ই-অরেঞ্জ ভুক্তভোগী কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আফজাল হোসেন বলেন, পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেছে। আমাদের ১০ জন এতে আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে। আমরা নতুন করে কর্মসূচি দেবো। নিরীহ মানুষের ওপর পুলিশ কেন হামলা করবে, আমরা তো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। আমরা আবারও শাহবাগে একত্রিত হবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।