মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাইডেনের সাথে বিরোধ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। মার্কিন সরকারের সাথে আবারো সুসম্পর্ক তৈরি করাই তার এই সফরের লক্ষ্য। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও আফগানিস্তানে তুরস্কের ইতিবাচক ভ‚মিকার কারণে দেশটির কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দিয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার দায়ে তুরস্ককে দোষারোপ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। পরে গত মাসে তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ব্লিংকেন টুইটারে বলেন, তুরস্ক ছিল ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এবং এ অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। মার্কিন কর্তৃপক্ষের কথার ধরনে এমন পরিবর্তন লক্ষ্য করে এরদোগান বুঝতে পারন, এখনই সময় আগের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার। এ কারণে বর্তমান মার্কিন সরকারের সাথে কয়েক বছরের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। রোববার জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে অংশ নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বলা হলেও আসল লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আগের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার। পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কাজ করা লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেন পলিসি সেন্টারের ফেলো এমরে কালিস্কান বলেন, রজব তাইয়েব এরদোগানের এ নীতি পরিবর্তনের একমাত্র কারণ বাইডেনের সাথে হওয়া এক বৈঠক। ওই বৈঠকে জো বাইডেনকে এরদোগান এ বিষয়টি বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে আফগানিস্তানে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারবে তুরস্ক। জুনে ন্যাটো সম্মেলনে বাইডেনকে এরদোগান এ বিষয়ে পরামর্শ দেন যে কাবুল বিমানবন্দর রক্ষায় তুরস্ক ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারবে। আঙ্কারাভিত্তিক জার্মান মার্শাল ফান্ডের পরিচালক ওজগুর উনলুহিসারসিকলি বলেন, আফগানিস্তান হলো একটি অজুহাত। আসলে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয়ে স্বার্থের সম্পর্ক আছে। এছাড়া তুরস্কের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র উপকৃত হচ্ছে। আসলে আফগানিস্তান ইস্যুকে তুরস্ক এমন একটি বিষয়ে পরিণত করতে চায় যার মাধ্যমে পশ্চিমাদের কাছে তাদের প্রয়োজনীয়তা বাড়বে। এর আগে এক অনুষ্ঠানে পশ্চিমা দুনিয়ার রাজনীতি ইসলামবিদ্বেষের কাছে জিম্মি বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। রবিবার নিউ ইয়র্কে তার্কিশ আমেরিকান ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটি (টিএএসসি) আয়োজিত এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ। এরদোগান বলেন, মুসলিমবিদ্বেষ এবং বিদেশিদের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণু মনোভাব পশ্চিমের রাজনীতিকে জিম্মি করে রেখেছে। এই বিদ্বেষ ও অসহিষ্ণুতা মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করছে। তিনি বলেন, ইসলামোফোবিয়া এবং জেনোফোবিয়া এই উভয় মতাদর্শই রাষ্ট্রীয় নীতি ঠিক করে দিচ্ছে। এটি একটি ধ্বংসাত্মক ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে যা সামাজিক শান্তির জন্য সরাসরি হুমকি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা একটি মারাত্মক ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। কোভিডের মতোই বিপজ্জনক এই ভাইরাসের নাম ইসলামোফোবিয়া। যেসব দেশ বহু বছর ধরে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার গহবর হিসেবে চিত্রিত হয়েছে সেসব দেশেই এই ভাইরাস অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।’ এরদোগান বলেন, ইসলামোফোবিয়া এবং আইএসের সন্ত্রাসবাদ একই ধরনের আদর্শিক ধর্মান্ধতা। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম সম্প্রদায় বিশেষ করে ৯/১১-এর পরে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। অথচ তারা বৈধ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে ঘৃণা ও বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সাড়া দিয়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা, ডেইলি সাবাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।