নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) শুরু হতে এখনও প্রায় ছয় মাস বাকি। কিন্তু দল গড়তে এবার আগেভাগেই মাঠে নেমেছে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড়দের ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছে তারা। সেক্ষেত্রে আগামী আসরে শক্তিশালী দলই পাচ্ছে মোহামেডান। অন্যদিকে, তাদের চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী দল আবাহনী লিমিটেড এখনও অনেকটাই নীরব। তবে মোহামেডানের তারকাখচিত দল গড়ায় তারাও খুশি।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল নিয়ে বর্তমানে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস-আবেগটা রীতিমতো আকাশচুম্বী। তবে একসময় ঠিক একই ধরনের উত্তেজনা ছিল ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ নিয়ে। কালক্রমে সেই উন্মাদনা অনেকাংশে হারিয়েছে। এর মূল কারণটাই হচ্ছে, শিরোপা লড়াই থেকে মোহামেডানের ছিটকে যাওয়া। গত এক দশকে শিরোপার দেখা নেই দলটির। এমনকি সেভাবে লড়াইয়েও ছিল না তারা। আর তাতে প্রিমিয়ার লিগের আকর্ষণই কমে এসেছে।
মোহামেডান না পারলেও ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী দল গড়েছে আবাহনী। সাফল্যও ঈর্ষনীয়। তবে গত মৌসুমে এক সাকিব আল হাসানকেই দলে টেনে পুরনো লড়াইটা বেশ জমিয়ে দিয়েছিল মোহামেডান। সেখানে সাকিবের সঙ্গে এবার থাকছেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদের মতো তারকা খেলোয়াড়রা। পুরনো সে দ্বৈরথ ফিরে এলো বলে!
আর এ কারণে মোহামেডানের শক্তিশালী দল দেখে আনন্দিত হয়েছেন আবাহনীর কর্মকর্তা ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস, ‘মোহামেডান দল শক্তিশালী হয়েছে, তাতে আমরা আনন্দিত। মোহামেডান-আবাহনীর খেলায় যে ইমেজটা থাকে... প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা থাকে, সেটি থাকলে তো ভালোই লাগে। শক্তিশালী দলের সঙ্গে আমরা প্রতিযোগিতা করব।... মোহামেডান কখনও চ্যাম্পিয়ন হয় না... প্রায় ১০ বছরের উপরে হয়ে গেছে। সামনের দিকে শিরোপা নেওয়ার তারা চেষ্টা করবে। এটা ভালো কথা।’
আবাহনীও যথারীতি শক্তিশালী দল গড়বে বলে জানান বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান, ‘আমাদের (আবাহনী) এখানে তরুণ খেলোয়াড়ই বেশি থাকবে। আমরা দল প্রায় গুছিয়ে নিয়েছি। যারা ক্রমাগত পারফরম্যান্সের ভেতর রয়েছে, তাদেরই দলে নিয়েছি। যারা সবসময় লিগে ভালো রান করে, তাদের নিয়েই আল্লাহর রহমতে ভালো করব। এখনও তো সময় অনেক বাকি আছে। আমরা গোছাচ্ছি, গুছিয়েও ফেলেছি। এখন পর্যন্ত ১৪-১৫ জন খেলোয়াড় আছে আমাদের হাতে। কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় ছিল আমাদের সঙ্গে, তারা হয়তো আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’
তবে শেষ পর্যন্ত মোহামেডানের মতো শক্তিশালী দল গড়তে না পারলেও লড়াইটা কোনো অংশেই কম হবে না বলে বিশ্বাস করেন তিনি, ‘আমরা সবসময় কাগজে-কলমে তিন নম্বর দল বানিয়েছি; এক নম্বর না। কিন্তু তারপরও কিন্তু আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এর একটা না, কয়েকটা উদাহরণ আছে। তাই আমরা চিন্তিত নই। যেই থাকুক, যত শক্তিশালী দলই হোক না কেন, মাঠে বোঝা যাবে কে কত শক্তিশালী। এটা খেলা দিয়েই বোঝা যাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।