বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কচুয়া বিট অফিসের দুইশত গজ দক্ষিনে কচুয়া মৌজায় ৩৭৩৬ নং দাগে বনবিভাগের জমি রয়েছে ৭.৯৫ একর। বনবিভাগের সম্পূর্ন জমিই ব্যক্তি মালিকানা দখলে রয়েছে এবং তারা ধীরে ধীরে বনবিভাগের জমি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে বিক্রি করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রতি শতাংশ ৬০হাজার টাকা হিসাবে ১১০শতাংশ জমি বিক্রি করে দিয়েছে। বহেড়াতলী রেঞ্জ এর কচুয়া বিটের সন্নিকটে বনবিভাগের প্রায় ৮একর জমি বেদখল থাকার পরও বনবিভাগের লোকজন অজ্ঞাতকারনে নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে।ওই বনবিভাগের জমিতে ইতিমধ্যে ২১০শতাংশ জমি লিজ নিয়ে জান্নাতুল লেমন গার্ডেন নামে একটি কৃষি প্রকল্প(লেবু বাগান)গড়ে তোলেন ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল বাছেদ ওরফে বাচ্চু মিয়ার ছেলে প্রান্তিক কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ মোফাজ্জল হোসেন। নন-জুডিশিয়াল ১৫০টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত লিজনামা দলিলে উল্লেখিত মেয়াদ, ৫বছর পূর্তি শেষে উভয় পক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী মেয়াদ পরিবর্তন,পরিবর্ধন করা যাবে উল্লেখ থাকলেও এখন বেঁকে বসেছেন লিজ দাতাগণ। তবে এ জমি লিজ দেননি বনবিভাগ লিজ দিয়েছেন অপর ব্যক্তিরা।
লিজ দাতারা হলেন উপজেলার কচুয়া গ্রামের মৃত দেওয়ান দুলাল উদ্দিনের পাঁচ ছেলেঃ-(১)দেওয়ান মোজাম্মেল হক (২)দেওয়ান সুজাত আলী(৩) দেওয়ান আব্দুল জব্বার(৪) দেওয়ান হযরত আলী (৫)দেওয়ান শওকত আলী গংরা। আবার তারা ৬০হাজার টাকা শতাংশ হিসাবে ১১০ শতাংশ বনবিভাগের জমি দুইজনের নিকট বিক্রি করেও দিয়েছেন। ফলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অত্র এলাকায় বনবিভাগের লোকজন থেকে কোন লাভ নাই,কচুয়া বিট অফিসের দুইশত গজ দক্ষিনে সখিপুর-কচুয়া-সাগরদিঘী সড়ক সংলগ্ন পূর্ব পাশে প্রায় ৮একর জমি বেদখল দীর্ঘদিন যাবৎ তবুও বিট কর্মকর্তা/কর্মচারী অজ্ঞাতকারনে নীরব। হাস্যকর বিষয় হলো-বনবিভাগের জমি লিজ নিয়েছেন যে ব্যক্তি সে লিজদাতাদের নামে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ও ১০৭/১১৭(গ) ধারায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছি এবং সংবাদ সম্মেলন করেছেন। অথচ জমি বনবিভাগের। সখিপুর উপজেলার প্রতিটি এলাকাতেই বনবিভাগের জমি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ব্যক্তি মালিকানায় বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে হাজার হাজার একর বনবিভাগের জমি ব্যক্তি মালিকানায় বেদখল হয়ে গেছে। এ বিষয়ে বহেড়াতলী রেঞ্জ অফিসার এএইচএম এরশাদ হোসেন বলেন,বনবিভাগের জমি হলে অবশ্যই উদ্ধার করা হবে। কচুয়া বিট কর্মকর্তা শাহ আহমেদ বলেন,সেই ১৯৭১ সাল থেকেই বনবিভাগের জমি জবরদখল করে বাড়িঘর নির্মান করে জনগন বসবাস করছে। উক্ত বনবিভাগের জমি সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে,অচিরেই কচুয়া মৌজার ৩৭৩৬ নং দাগের ৭.৯৫একর জমি বেদখল মুক্ত করে উদ্ধার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।