Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সেনবাগে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে লাঠিপেটা

শাশুড়ি ও ননদ গ্রেফতার

নোয়াখালী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

সেনবাগের কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামে দাবীকৃত যৌতুকের ২ লাখ টাকা না পেয়ে এক সন্তানের জননী ও ৪ মাসের অন্তসত্ত্বা কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্না নামের এক গৃহবধূকে বসতঘরের ভিতরে আটকিয়ে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ মিলে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় সেনবাগ থানা পুলিশ অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো,স্বামী আনোয়ার হোসেন, হরমুজা বেগম ও শাহেদা আক্তার।
গতকাল সোমবার বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের জাহাজী মন্নানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের পরিকোট উত্তর পাড়া সুতা বেপারী বাড়ির ইয়াছিনের মেয়ে কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্না সঙ্গে ৫ বছর আগে ডমুরুয়া ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের জাহাজী মন্নানের বাড়ির তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিবাহ হয়। বিবাহের দুই বছর পর আনোয়ার হোসেন বাহরাইন যাবার কথা বলে কল্পনা আক্তারের পিতার নিকট থেকে দেড় লাখ টাকা হাওলাত নেয় পর্যায় ক্রমে পরিশোধ করবে বলে। কিন্তু সে ওই টাকা আর পরিশোধ করেনি সে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামী বিগত ৪ মাস আগে বিদেশ থেকে দেশে এসে শশুর বাড়ি থেকে আরো দুই লাখ টাকা এনে দিকে গৃহবধূ কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্নাকে চাপ দিতে থাকে। শনিবার বিকেলে স্বামী আনোয়ার হোসেন আবারো যৌতুকের ২লাখ টাকা এনে দিতে বললে গৃহবধূ কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্না অপরাগতা প্রকাশ করলে স্বামী আনোয়ার হোসেন, হরমুজা বেগম ও ননদ শাহেদা বেগম তার ওপর এতে ক্ষিপ্ত হয়েয় তারা সকলে মিলে মোবাইল ফোনে অন্য কারো সথে কথা বলে মিথ্যা অভিযোগ এনে এই অজুহাতে এক সন্তানের জননী ও ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্নাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় এলাপাথাড়ী পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশ্বে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। নির্যাতনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যশ ফেজবুকে ভাইরাল হলে শনিবার গভীর রাতে সেনবাগ থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় গৃহবধূ তিনজনকে আসামী করে সেনবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা জানান, গ্রেফতারকৃদের রোববার নোযাখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যৌতুক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ