পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যৌতুক, মাদক, নারী ও শিশু নিপীড়ন থামাতে সরকারকে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং যৌতুক ও মাদকবিরোধী হাজার হাজার যুবকের গণশপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়ার আয়োজনে যৌতুক ও মাদকবিরোধী এ মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, যৌতুক দেয়া নেয়া দুটোই সমান অপরাধ। যৌতুক ও মাদককে ঘৃণা করতে শিখুন। বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়ে বর্তমান সরকার বাল্য বিয়ের লাগাম টেনে ধরতে পেরেছে। ইনশাআল্লাহ অচিরেই দেশ যৌতুক ও মাদকের অভিশাপমুক্ত হবে। যৌতুক ও মাদকবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে ইনসাফভিত্তিক মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই সরকারের বড় লক্ষ্য বলেও জানান তিনি।
যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়তে গণমাধ্যম ও মসজিদের ইমাম-খতিব উলামা পীর মাশায়েখসহ প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহবান জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মহাসমাবেশে সহস্রাধিক তরুণ যুবক যৌতুক ও মাদককে সমস্বরে ‘না’ বলেন। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আনজুমানের চেয়ারম্যান ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আতের কেন্দ্রীয় মহাসচিব পীরে তরিকত আল্লামা আবুল কাশেম নূরী।
মহাসমাবেশে উদ্বোধক ছিলেন আন্জুমান ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ দৌলতী। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক নু ক ম আকবর হোসেন, কলামিস্ট ও রাজনীতিক ড. মাসুম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া পৌরসভা মেয়র আইয়ুব বাবুল, আহলে সুন্নাতের নির্বাহী মহাসচিব আল্লামা মাসউদ হোসাইন আলকাদেরী, সাংগঠনিক সচিব মুহাম্মদ আব্দুল মতিন. লায়ন নজরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ এস এম ফরিদ। মহাসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক কাজী মুহাম্মদ ফোরকান রেজা। যৌতুক সাজানোর তাগিদ দেন।
৭ই মার্চের ভাষণ এখনো উদ্দীপ্ত করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাঙালি একটি নিরস্ত্র জাতি ছিল, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের একটি ভাষণের মাধ্যমে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র বাঙালিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। এ ভাষণ আজও যে কেউ শুনলে উদ্দীপ্ত হয়। এমন কোন নেতার ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসে প্রকৃতপক্ষে কেউ দেননি। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক মো. শামসুল হক। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, অধ্যাপক মো. মঈন উদ্দিন, অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।