Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খুলনার দুই ইউনিয়নে আ’লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১২

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:৩৯ পিএম

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর খুলনায় ইউপি নির্বাচন। নির্বাচনের আগেই দুই উপজেলা দিঘলিয়া এবং কয়রায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে রক্তাক্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটিতে নির্বাচনী সহিংসতায় ৪ জন আহত হয়েছে। আহতরা বর্তমানের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, আজ রোববার বেলা আনুমানিক দেড়টার দিকে সেনহাটী পুলিশ ক্যাম্পের সামনে সেনহাটী ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ফারহানা হালিমের এক সমর্থকের সাথে আ’লীগের বিদ্রোহী ও বহিস্কৃত প্রার্থী গাজী জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া গাজীর সমর্থকের বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর জিয়া গাজী তাঁর ৪০/ ৫০ জন সমর্থক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ওই এলাকায় আসেন। এসময় চন্দনীমহল স্টার ২ নং গেট থেকে সেনহাটীর উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে ফারহানা হালিম এর সমর্থক ও প্রাক্তন দিঘলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মল্লিক মহিউদ্দিন এর পুত্র মল্লিক মিজানুর রহমান ওরফে মিজান মল্লিক (৪৫), বাবু গাজী (৩৫) ও মনিরুল গাজী (৩০) যাওয়ার সময় সেনহাটী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে জিয়া গাজীর সমর্থকরা তাঁদের উপর হামলা চালিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় ফারহানা হালিমের আরো একজন সমর্থক কাশেম গোলদার (৫৫) ও আক্রমণের শিকার হন। আহতদের প্রথমে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে ফরহানা হালিম আহতদের দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছুঁটে যান। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উঃ) মামুন অর রশিদ, (দঃ) শুশান্ত সরকার, দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসানউল্লাহ চৌধূরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

অন্যদিকে, খুলনার কয়রায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়ে মাইক ভাঙচুর করেছে। এ সময় নৌকা প্রতীকের ৮ কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুই জনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, জাকির হোসেন (২৫) ও আলমগীর (৩৬)। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কবি শামসুর রহমানের ছেলে মশিউর রহমান মিলন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এবারের ইউপি নির্বাচনের তার পিতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান শামসুর রহমান দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় নৌকা প্রতীকের পোস্টার টানানো ও প্রচারণার সময় বিদ্রোহী প্রার্থী আছের আলী মোড়লের নির্দেশে তার লোকজন নৌকার প্রচারণায় বাঁধা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে তার প্রচার মাইক ভাঙচুর করতে থাকে। বাঁধা দিলে কর্মীদের মারপিট করে। এতে ঘটনাস্থলে আট জন আহত হয়। আছের আলী পুলিশ হত্যা মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী। এছাড়াও তার নামে অস্ত্র আইনের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। শনিবার জেলা আওয়ামীলীগের সভায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচনি সহিংসতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ