Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টাঙ্গাইলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির দিকে ৬৬ স্কুলের শিক্ষার্থীর ক্লাসে ফেরা নিয়ে অনিশ্চিত

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৩৪ পিএম

টাঙ্গাইলে যমুনা ও অভ্যন্তরীণ নদীগুলোর পানি কমতে থাকায় জেলার সাতটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। বর্তমানে জেলার ৩৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ এবং বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তায় বন্যার পানি রয়েছে। এছাড়া পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ক্লাসে ফেরায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

জেলার শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের বন্যায় জেলার এক হাজার ৬২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৬৬টি বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করে। ৩৪টি বিদ্যালয়ের শ্রেণিক্ষ ও মাঠে এখনও পানি রয়েছে। ৬৯৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৭টি বন্যা কবলিত হয়। ২৭টি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ এখনও বন্যা কবলিত। এছাড়া পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করায় পাঠদানযোগ্য নয়।

সরেজমিনে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের অয়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এখনও বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। স্কুলে যাতায়াতের রাস্তাটি পানির নিচে। বিদ্যালয়ের তিনটি ভবনের মধ্যে দুটির শ্রেণিকক্ষে পানি রয়েছে। একই উপজেলার গালারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও একই অবস্থা। এ বিদ্যালয়ের মাঠে এখনও হাটু পানি রয়েছে। পশ্চিম দিকে একটি ভবনের প্রায় অর্ধাংশ পানির নিচে রয়েছে। এই নিয়ে এসমস্ত বিদ্যালয়ে রোববার থেকে পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম জানান, যেসব এলাকার স্কুলগুলো থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে সেগুলোতে নির্দেশনানুযায়ী আগামীকাল রোববার থেকে ক্লাস চলবে। আর যে সব বিদ্যালয় গুলোতে এখনও পানি রয়েছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলে যমুনা ও অভ্যন্তরীণ নদীগুলোর পানি কমতে থাকায় জেলার সাতটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। যমুনা, ধলেশ^রী ও ঝিনাই নদীর পানি কমে বিপদসীমার নিচে চলে গেছে। তবে বংশাই নদীর পানি মির্জাপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকল নদীর পানি কমা অব্যাহত থাকায় লোকালয় থেকে বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে।

তবে, জেলার সদর, ভূঞাপুর, মির্জাপুর, বাসাইল, দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলার নি¤œাঞ্চলের অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এসব উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বানভাসী মানুষদের জন্য ৪০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে আরো বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে দেখা দিয়েছে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর তীব্র ভাঙন। ভাঙনের ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যে তিন শতাধিক বসতভিটা, মসজিদ, বাঁধ, রাস্তাসহ নানা স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এদিকে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৯৮০ হেক্টর রোপা আমন পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্কুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ