নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সিরিজে প্রথমবার ব্যাটিং উইকেট পেয়ে নিউজিল্যান্ড কাজে লাগাল দারুণভাবে। কিন্তু নিজেদের চেনা আঙিনায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। পরে আফিফ হোসেসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে কিছুটা আশা জাগলেও অন্যদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত সঙ্গী বড় হার।
২৭ রানের জয়ে ব্যবধান কমাল নিউজিল্যান্ড। ২০ ওভার খেলে শেষ পর্যন্ত কেবল ১৩৪ রান করতে পারে বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন অপরাজিত থাকেন ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ বলে ৪৯ রান করে।
নিউজিল্যান্ডের পেস-স্পিনের সম্মিলিত বোলিং আক্রমণ কার্যকর বোলিংয়ে আটকে রাখে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।
বিশ্বকাপ দলের একজনকে না নিয়ে এসেও দারুণ পারফরম্যান্সে নিউজিল্যান্ড দেখিয়ে দিল তাদের ক্রিকেটের গভীরতা। প্রথম ম্যাচের পর প্রতি ম্যাচেই উপহার দিল তারা দারুণ লড়াই। শেষ পর্যন্ত সিরিজ তারা জিততে পারেনি, তবে অনভিজ্ঞ দল নিয়েও এমন উইকেট ও কন্ডিশনে ৩-২ ব্যবধানের হারে তারা মাথা উঁচু রাখতেই পারে।
বিশ্বকাপের আগে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের দুর্দশা, বিশ্বকাপ নিয়ে তুলে ধরছে শঙ্কার ছবি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নিউজিল্যান্ড : ২০ ওভারে ১৬১/৫ (অ্যালেন ৪১, রবীন্দ্র ১৭, ল্যাথাম ১৮, ইয়াং ৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ৯, নিকোলস ২১, ম্যাকনকি ০, ব্রেসওয়েল ৫, এজাজ ৩, টিকনার ৩*, ডাফি ৩; তাসকিন ৪-০-৩৪-১, নাসুম ২-০-৫-২, শরিফুল ৪-০-৪৮-২, মাহমুদউল্লাহ ৩-০-১৭-০, সৌম্য ২-০-১৪-০, আফিফ ৩-০-১৮-১, শামীম ১-০-৪-০)।
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৩৪/৮ (নাঈম ২৩, লিটন ১০, সৌম্য ৪, মুশফিক ৩, আফিফ ৪৯*, মাহমুদউল্লাহ ২৩, সোহান ৪, শামীম ২, তাসকিন ৯, নাসুম ৩*; ডাফি ৪-০-২৫-১, এজাজ ৪-০-২১-১, কুগেলাইন ৩-০-২৩-২, ম্যাকনকি ৩-০-২৫-১, সিয়ার্স ৩-০-২১-১, রবীন্দ্র ৩-০-১৯-১)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ২৭ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : টম লাথাম (নিউজিল্যান্ড)।
সিরিজ : ৫ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ৩-২ ববধানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য সিরিজ : যৌথভাবে নাসুম আহমেদ ও টম লাথাম।
----------------------------------------------------------
আফিফ-রিয়াদ ঝড়ে একশ’ পার
বাজে শটে একের পর এক উইকেট পতনে অস্বস্তি ভর করেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে দক্ষ হাতে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে সেই সঙ্কট কাটিয়ে তুলেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে একশ’ পেরিয়েছে বাংলাদেশ।
১৫ ওভার শেষে ঐ ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০৬। দুই চার আর তিন ছক্কায় তিন চারে ২২ বলে ৪০ রানে বাট করছেন আফিফ। ১৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ২২ রানে খেলছেন দলনেতা মাহমুদউল্লাহ।
জয়ের জন্য ৩০ বলে বাংলাদেশের চাই ৫৬ রান।
বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে ফেলে ফিরে গেলেন মুশফিকও
টানা তিন ওভারে উইকেট পতন দেখল বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার আর নাঈম শেখের পর দলকে বিপদে ফেলে ফিরলেন মুশফিকুর রহিমও।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় দল তাকিয়ে যার দিকে, সেই মুশফিকও হতাশায় ডুবিয়ে আউট হলেন বিস্ময়কর এক শট খেলে। উইকেট বিলিয়ে বিপাকে ফেলে দিলেন দলকে।
রাচিন রবীন্দ্রর ফ্লাইটেড ডেলিভারি জায়গা বানিয়ে ইনসাইড আউট শট খেলার চেষ্টা করেন মুশফিক। কিন্তু টাইমিং করতে পারেননি ঠিকমতো। বল তাই সহজ ক্যাচ যায় লং অফে।
৮ বলে ৩ রান করে আউট হলেন মুশফিক। আরও ঘনীভূত হলো দলের বিপদ। ৮.৫ ওভারে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ৪৬। নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ, সঙ্গী আফিফ হোসেন।
সৌম্য এলেন আর গেলেন, ফিরলেন নাঈমও
এক ওভার আগেই ফিরে গেছেন লিটন কুমার দাস। সেই ধাক্কা কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশ শিবিরে জোড়া ধাক্কা। পর পর দুই ওভারে ফিরে গেলেন ওপেনার নাঈম শেখ আর সৌম্য সরকার।
সিরিজে প্রথমবার নেমে নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেন নি সৌম্য। রাচিন রবীন্দ্রর সোজা বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন কোল ম্যাকনকির হাতে। ৯ বলে ৪ রান তুলেই ফিরেছেন এই টপঅর্ডার।
পরের ওভারেই ১৪৭ কিলোমিটার গতির শর্ট বলে অফ সাইডে অনেকটা বেরিয়ে সজোরে মারতে চেয়েছিলেন নাঈম। তবে ব্যাটের জোর না পেয়ে হতির কাছে হলেন পরাস্ত, ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে লাথামের হাতে।
বাংলাদেশি তরুণ এই ওপেনারকে ২৩ রানে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটের অভিষেকটাও হয়ে গেলে কিউই পেসার বেন সিয়ার্সের।
৮ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৪। মুশফিক আর আফিফ খেলছেন সমান দুই রান করে নিয়ে।
দুর্দান্ত ক্যাচে লিটনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন কুগেলেইন
লক্ষ্যটা বড়ই- ১৬২ রানের। সে লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই করেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ আর লিটন দাস। দেখে শুনে খেলছিলেন এই দুই ওপেনার। চার-ছক্কার ফাঁকে ফাঁকে রানও আসছিল বলে বলে। তবে দুর্দান্ত এক ক্যাচে লিটনের বিদায়ে ভাঙল ২৬ রানের জুটি।
প্রথম চার ওভারে সতর্ক ব্যাটিংয়ে উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে পতন হলো প্রথম উইকেটের। আউট হলেন লিটন। বোলার এজাজ প্যাটেলের চেয়ে অবশ্য এটায় কৃতিত্ব বেশি ফিল্ডার স্কট কুগেলেইনের।
বাঁহাতি স্পিনার এজাজের ঝুলিয়ে দেওয়া বল জায়গা বানিয়ে ইনসাইড আউট শট খেলার চেষ্টা করেন লিটন। কিন্তু বলের পিচ পর্যন্ত যেতে না পারায় ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। পয়েন্টের ফিল্ডার কুগেলেইন বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে বাঁহাতেই নেন অসাধারণ এক ক্যাচ।
লিটন আউট হলেন ১২ বলে ১০ রান করে। ৪.২ ওভারে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ২৬। সিরিজের আগের চার ম্যাচে লিটনের রান ১, ৩৩, ১৫ ও ৬।
ব্যবধান ৪-১ করতে বাংলাদেশের চাই ১৬২
আগেই নিশ্চিত হয়েছে সিরিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলও দিয়ে দিয়েছে বিসিবি। উপলক্ষ্যটা এবার নিজেদের প্রমাণের আর বিশ্বকাপের কম্বিনেশন ঠিক করা। সে লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য ১৬২ রানের টার্গেট পেয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ৫ম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান তোলে নিউজল্যান্ড। আজও অনবদ্য ফিফটিতে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন অধিনায়ক টম লাথাম। ৩৭ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন কাটায় কাটায় ৫০ করে।
ফিফটি পেতে পারতেন ঝড়ো শুরু করা ওপেনার ফিন আলানও। তবে ২৪ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় থামেন ৪১ রানে। এছাড়া ২০ রান আসে হেনরি নিকোলসের ব্যাট থেকে, রাচিন রবীন্দ্র আর কোল ম্যাকনকির (অপরাচিত) ১৭ রানের ইনিংস দুটিতে স্বাগতিকদের বড় লক্ষ্য দিতে পারে সফরকারীরা।
দলের দুই সেরা তারকা সাকিব আল হাসান আর মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়া বোলিংয়ে দ্যুতি ছড়িয়ে জোড়া শিকার শরীফুল ইসলামের। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ আর আফিফ হোসেন।
কিপিংয়ে সেরার প্রমাণ দিচ্ছেন সোহান
টানা দুই সিরজজুড়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন নুরুল হাসান সোহান। উইকেট কিপিংয়ে নিজেকে টেনে তুলছেন সেরার কাতারে।
বর্তমান দলে তিনজন কিপার থাকার পরও তাকেই কেন সেরা মনে করা হয়, তার একটি নমুনা আজ দেখালেন সোহান। অসাধারণ রিফ্লেক্স ক্যাচে ফেরালেন হেনরি নিকোলসকে।
প্রথম স্পেলে দুর্দান্ত বল করা তাসকিন দ্বিতীয় স্পেলে আসে ১৭তম ওভারে। তৃতীয় বলটি করেন অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। ব্যাট চালিয়ে দেন নিকোলস, কানায় লেগে বল গুলির বেগে যায় পেছনে। চোখের পলকে বাদিকেঁ ঝাঁপিয়ে তা গ্লাভসবন্দি করেন সোহান।
২১ বলে ২১ রান করে বিদায় নিলেন নিকোলস। ভাঙল ৩৫ বলে ৩৫ রানে জুটি। নিউজিল্যান্ড ১৬.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৮।
শরীফুলের জোড়া আঘাত
এবার ওভারের প্রথম বলেই ছয় খেলেন শরীফুল। পাওয়ারপ্লে শেষ না হতেই ৫০ পেরোল নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার অ্যালেন ও রবীন্দ্র দারুণ সুচনা এনে দিয়েছেন দলকে। বলতে বলতেই তুলতে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন রাচিন। পরের বলে এলবিডব্লুর আবেদন। রিভিও নিয়ে বেঁচে গেলেও শেষ বলে বোল্ড হয়ে গেলেন অ্যালেন। যে শরীফুলকে হাত খুলে খেলছিলেন দুই ওপেনার, তাঁর বলে ফিরে গেলেন দুজনই। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৮।
শরীফুলের ওপর চড়াও হলেন অ্যালেন
বোলিংয়ে পরিবর্তন। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসেছেন শরীফুল। শরীফুলের ওপর চড়াও হয়েছেন ফিন অ্যালেন । টানা তিন বলে মেরেছেন ৪, ৬, ৪। শেষ বলে আবারও শরীফুলকে সীমানা ছাড়া করলেন রবীন্দ্র। নিজের প্রথম ওভারেই শরীফুল দিলেন ১৯ রান।
গতির ঝড় তুলেছেন তাসকিন
তৃতীয় ওভারে আবারও তাসকিন। ঘরের মাঠে ৫ বছরেরও বেশি সময় পর নেমে গতির ঝড় তুলেছেন এই ফাস্ট বোলার। দুটি ওভারেই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে দিলেন ৫ রান। ৩ ওভার শেষে কিউইদের সংগ্রহ ১৯ রান
রবীন্দ্রর ক্যাচ ছাড়লেন শামিম
তাসকিন আহমেদকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে তাসকিন আহমেদ দিয়েছেন ২ রান। নাসুমের দ্বিতীর ওভারের প্রথম বলেই ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রবীন্দ্র। দৌড়ে এসে বল তালুবন্দী করতে পারেননি শামিম। এই ওভার থেকে রান এসেছে ১২।
শুরুতেই তাসকিন
১০ ম্যাচের মধ্যে প্রথমবার পেস দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করল বাংলাদেশ। নতুন বলে প্রথম ওভার করলেন তাসকিন আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম ৪ ম্যাচে নতুন বলে ছিলেন স্পিনাররা। এবার তাসকিনের শুরুটা হলো দারুণ। গতি ছিল দুর্দান্ত, একটি ডেলিভারিতে ছাড়িয়ে যায় ১৪৬ কিলোমিটার। বেশ সুইংও আদায় করে নেন তিনি।
নতুন উইকেটে খেলা
সিরিজের প্রথম চার ম্যাচ খেলা হয়েছে দুটি উইকেটে। পঞ্চম ম্যাচে খেলা হচ্ছে নতুন ও তরতাজা উইকেটে। আগের ম্যাচগুলির মতো উইকেট মন্থর হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
নাদির শাহ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা
প্রয়াত আম্পায়ার নাদির শাহর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে খেলা শুরুর আগে মাঠে এক মিনিট নীরবতা পালন করে দুই দল। ক্রিকেটার ও ম্যাচ অফিসিয়াসলা মাঠে নামে হাতে কালো ফিতা বেঁধে।
ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে প্রায় দুই বছর লড়াই করে শুক্রবার ভোর রাতে মারা যান সাবেক ক্রিকেটার ও আইসিসির সাবেক প্যানেল আম্পায়ার নাদির শাহ।
খেলোয়াড়ী জীবনে নাদির শাহ ছিলেন লেগ স্পিনার। সঙ্গে ব্যাটিংও খারাপ করতেন না। ঢাকা লিগে দুই দশকের বেশি সময় খেলেছে আবাহনী, মোহামেডান, বিমান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, সূর্যতরুণ, আজাদ বয়েজ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান ক্লাবের হয়ে।
পরে আম্পায়ারিং শুরু করে একসময় হয়ে ওঠেন দেশের এক নম্বর আম্পায়ার। ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করে ২০০৬ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হয় তার।
সব মিলিয়ে ৪০টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তিনি পরিচালনা করেন মাঠে দাঁড়িয়ে। টিভি আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেন ৬ টেস্ট ও ২৩ ওয়ানডেতে। এছাড়াও ৭৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ১২৭টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন তিনি।
শেষবার তাকে আম্পায়ার হিসেবে মাঠে দেখা গেছে ২০১৯ সালের অক্টোবরে, মিরপুরে জাতীয় লিগের ম্যাচে। এরপর থেকে অসুস্থতার কারণে মাঠে আর সেভাবে দেখা যায়নি তাকে।
তিন পরিবর্তন নিউজিল্যান্ডের
ম্যাচ শুরুর আগেই নিউ জিল্যান্ড বড় ধাক্কা খায় চোটের কারণে টম ব্লান্ডেলকে হারিয়ে। তাদের স্কোয়াডে বাড়তি ব্যাটসম্যানও নেই। তাই বাধ্য হয়েছে ব্যাটসম্যানের বদলে দলে এনেছে তারা পেসার।
কিউইদের একাদশে পরিবর্তন তিনটি। ব্লান্ডেলের পাশাপাশি নেই ব্লেয়ার টিকনার ও হামিশ বেনেটঠ। একাদশে এসেছেন তিন পেসার স্কট কুগেলাইন, জ্যাকব ডাফি ও বেন সিয়ার্স।
নিউজিল্যান্ড একাদশ : রাচিন রবীন্দ্র, ফিন অ্যালেন, উইল ইয়াং, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), হেনরি নিকোলস, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, কোল ম্যাকনকি, স্কট কুগেলাইন, এজাজ প্যাটেল, জ্যাকব ডাফি, বেন সিয়ার্স।
চার পরিবর্তন বাংলাদেশ একাদশে
সিরিজ জয়ের পর অনুমিতভাবেই একাদশে অনেক বদল এনেছে বাংলাদেশ। প্রথম চার ম্যাচে একই একাদশ নিয়ে মাঠে নামা দল শেষ ম্যাচে পরিবর্তন করেছে চারটি।
বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, শেখ মেহেদি হাসান ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে। একাদশে সুযোগ পেয়েছেন সৌম্য সরকার, শামীম হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশ একাদশ : লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ।
টসে হাসি ল্যাথামের
প্রথম চার ম্যাচে মাত্র একবার টস জয়ী মাহমুদউল্লাহ হেরে গেলেন শেষ ম্যাচেও। টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ টসের সময় জানালেন, টস জিতলে তিনি আগে বোলিংই নিতেন।
এবার প্রস্তুতির পালা
বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য আয়োজিত সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে মিলছে আসল প্রস্তুতির ফুরসত। সিরিজ জয়ের লক্ষ্য পূরণ করার চেষ্টায় আগের ম্যাচগুলোয় চাপা পড়ে যায় মাঠের প্রস্তুতি। চতুর্থ ম্যাচে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পর এবার বাংলাদেশের একাদশে দেখা যেতে পারে বেশ কিছু পরিবর্তন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।