নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবারের বিশ্বকাপে তামিম ইকবাল নেই। তবে বিশ্বকাপ দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে তার নাম এলো বেশ কবার। তাকে না পাওয়ার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে হলো আলোচনা। খানিকটা আক্ষেপ জানিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বললেন, ভবিষ্যতে তামিমকে আবার ফিরে পাবেন বলেই আশা তাদের। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল নিয়ে সবচেয়ে বড় কৌত‚হলের অবসান হয় দল ঘোষণার আট দিন আগেই। নাটকীয় ঘোষণায় বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম। তার ঘোষণার পর বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান বলেছিলেন, নির্বাচকদের দলে ছিল তামিমের নাম। তিনি না থাকায় বাকি দল ছিল অনেকটাই অনুমিত। গতকাল সেই দল ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা সারেন নির্বাচকরা। আর তাতে অনুমিতভাবেই রাখা হয়নি দেশসেরা ওপেনারকে।
বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর তামিমের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যতও এখন অনিশ্চিত। আগামী বছরই আছে আরেকটি বিশ্বকাপ। কোভিড বিরতি, চোট আর বিশ্রাম মিলিয়ে এমনিতেই গত দেড় বছরে দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেননি তিনি। এবার বিশ্বকাপ না খেলার পর আগামী বিশ্বকাপেও তার খেলার আগ্রহ খুব একটা থাকার কথা নয়। সেক্ষেত্রে তাকে আবার বাংলাদেশের হয়ে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা সামান্যই।
তবে দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক বললেন, তারা আশা ছাড়ছেন না, ‘তামিম অবশ্যই তিন ফরম্যাটে আমাদের সেরা ক্রিকেটারদের একজন। এখন ও নিজে থেকেই সরে দাঁড়িয়েছে, আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে ওকে পাব। এটা সত্যি দুর্ভাগ্য (তাকে না পাওয়া)। তামিমকে দল ও আমরাও মিস করব। তবুও আমরা আত্মবিশ্বাসী, ও ভালোভাবে ফিরে আসবে।’
তামিম না থাকায় ১৫ সদস্যের দলে ওপেনার এখন তিনজন-সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ সিরিজ ও চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভালো করতে পারেননি তাদের কেউই। তবে মিনহাজুলের আশা, ওপেনাররা বিশ্বকাপে ভালো করবেন, ‘বাকি ওপেনাররা যারা সুযোগ পেয়েছে, ওরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। তাদের অবশ্যই সামর্থ্য আছে ভালো খেলার এবং বিশ্বকাপে এই ওপেনারদের ওপর আমরাও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী যে ওরা ভাল করবে।’
শুধু ওপেনিংই নয়, নির্বাচকদের দল নির্বাচন করতে মাথায় রাখতে হয়েছে কন্ডিশন আর সাম্প্রতিক ফর্মও। আইসিসির ইভেন্ট আর সেটি ক্ষুদ্র ফরম্যাটের হওয়ায় বিবেচনায় রাখা যেতো আরো একজন স্পিনার। কেননা টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ চারজনই রিস্ট স্পিনার। সেরা দশে আছেন পাঁচজন। এবার বিশ্বকাপের স্কোয়াডগুলোতেও অন্তত একজন লেগ স্পিনার রাখছে দলগুলো। কিন্তু বাংলাদেশে সেখানে ব্যতিক্রম। বাংলাদেশের মূল স্কোয়াডে জায়গা হয়নি লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের। তবে অতিরিক্ত হিসেবে বিশ্বকাপে যাওয়া বিপ্লবকে মূল স্কোয়াডে রাখা যেত কিনা এই প্রশ্ন ওঠে সংবাদ সম্মেলনে। প্রধান নির্বাচক জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে বিপ্লব ম্যাচ না খেলায় তাকে দলের চাহিদার সঙ্গে মেলানো যায়নি, ‘লম্বা সময় কিন্তু সে অসুস্থতায় ছিল, এখান থেকে সে ফিরে এসেছে। তারপরও ওকে আমরা নিয়ে যাচ্ছি (অতিরিক্ত হিসেবে)। দুর্ভাগ্যবশত আমরা যে পরিকল্পনায় খেলব, সেখানে সে পড়ছে না। তাই তাকে মূল দলে রাখা যায়নি।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে একাদশের বাইরে আছেন শামীম হোসেন। গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় শামীমের। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য শামীম এখন পর্যন্ত ৩৬ টি-টোয়েন্টিতে প্রায় দেড়শ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫০৬ রান। একমাত্র ফিফটিতে অপরাজিত ছিলেন ৫২ রানে। বর্তমান কম্বিনেশনে তার একাদশে জায়গা পাওয়ার পথও বেশ কঠিন। তবে বিশ্বকাপের দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক জানালেন, পুরো প্যানেলই শামীমের মধ্যে দেখছেন অমিত সম্ভাবনা, ‘শামীমকে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে দলে রাখছি। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেলে এসেছে, আমাদের হাইপারফরম্যান্স ইউনিটে রেখে যথেষ্ট নার্সিং করা হয়েছে ওর। আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী, ও যে স্টাইলে খেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ও যথেষ্ট ভালো খেলবে। আমরা নির্বাচক প্যানেল ওর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।