মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গিনিতে প্রেসিডেন্ট আলফা কনডের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করেছে দেশটির এলিট ফোর্স। প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের পর নতুন সরকার গঠনের কথা জানিয়েছেন এলিট ফোর্সের সেনাপ্রধান।
রোববার ভোর থেকেই গিনির রাজধানীতে গুলির শব্দ শোনা যেতে শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে গুলির লড়াই চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট আলফা কনডে পালিয়ে গেছেন। পরে এলিট ফোর্সের সেনারা জানান, প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকালে দেশের জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে একটি বিবৃতি দেন এলিট ফোর্সের সেনাপ্রধান মামাডি দৌমবউয়া। তিনি জানান, দ্রুত অস্থায়ী সরকার তৈরি করে শাসনকাজ শুরু হবে। একইসঙ্গে নতুন সংবিধান তৈরির কাজও শুরু হবে।
এলিট ফোর্সের প্রধান গিনির জাতীয় পতাকা পাশে রেখে বিবৃতি দেন। তার পাশে আটজন সশস্ত্র সেনা দাঁড়িয়ে ছিল। বিবৃতিতে বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন তিনি। তার বক্তব্য, একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট। দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছিল। সে কারণেই এলিট ফোর্স বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রেসিডেন্ট এখন তাদের হেফাজতে আছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন সেনাপ্রধান। তার বক্তব্য, নতুন করে সরকার গঠন করা হবে। নতুন সংবিধান তৈরি হবে। নতুন সরকার হবে মানুষের সরকার। ক্ষমতা একজন বা কয়েকটি পরিবারের হাতে থাকবে না। সকলে রাজনীতিতে অংশ নেয়ার অধিকার পাবেন। আপাতত অনির্দিষ্টকালের কারিফউ ঘোষণা করা হয়েছে গিনিতে। মধ্যবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত কারিফউ জারি থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
দু’বছর আগে শেষবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল গিনিতে। তারপর থেকেই সেখানে রাজনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট একনায়কের মতো দেশ শাসন করছেন। শুধু তাই নয়, দারিদ্র্যে ডুবে যায় দেশটি। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেসব বিষয়ই এদিনের বিবৃতিতে বলেছেন সেনাপ্রধান। সেনা প্রধানের বিবৃতি শোনার পরে গিনির রাস্তায় সাধারণ মানুষকে উৎসব করতেও দেখা গেছে।
গিনির বিদ্রোহের পরে দেশের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশের সরকার বলার চেষ্টা করেছিল, বিদ্রোহ সফল হয়নি। কিন্তু পরে সেনাপ্রধান বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন, প্রেসিডেন্টকে আটক করা হয়েছে এবং অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসা হবে। তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে কি না, নতুন মন্ত্রিসভায় তাদের জায়গা হবে কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি। সূত্র : ইকোনমিস্ট, রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।