Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চলচ্চিত্রের অনেক শিল্পী ও কলাকুশলী বেকার হয়ে গ্রামে চলে গেছেন

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

করোনা দেশের চলচ্চিত্রের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। লকডাউরেন কারণে সিনেমা নির্মাণ বন্ধ থাকায় চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীরা বেকার হয়ে পড়েছে। লকডাউন উঠে গেলেও চলচ্চিত্রের স্বাভাবিক পরিস্থিতি এখনো ফিরেনি। চলচ্চিত্রের এই দুর্দশার কারণে অনেক কলাকুশলী চলচ্চিত্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে গেছেন। কাজ না থাকায় অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন চলচ্চিত্রের নিম্ন আয়ের শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ঢাকায় জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ায় অনেকেই সিনেমা ছেড়ে গ্রামে ফিরে গেছেন। তবে কতজন শিল্পী ও কলাকুশলী ঢাকা ছেড়ে গেছেন, তার সঠিক তালিকা নেই। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো থেকে যে তথ্য পাওয়া যায়, তাতে প্রায় শতাধিক শিল্পী ও কলাকুশলী ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। কেউ কেউ বলছেন এ সংখ্যা দুই শতাধিকও হতে পারে। এর মধ্যে দৈনিক পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনয় শিল্পী যেমন আছেন তেমনি টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য কর্মজীবীও রয়েছেন। কোনো সমিতির সদস্য নন এমন অনেকেই চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তারা দিনে এনে দিনে খান। দীর্ঘ সময় কর্মহীন থাকায় তারা বাসা ভাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। সংসার চালাতে পারছিলেন না। তাই গ্রামে ফিরে গেছেন। কেউ আবার অন্য পেশায় চলে গেছেন। পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন বলেছেন, কতজন চলচ্চিত্র ছেড়ে অন্য পেশায় বা গ্রামে ফিরেছেন তার সঠিক কোনো হিসাব দিতে পারবো না। তবে শুনেছি অনেকেই চলে গেছেন। উপার্জন না থাকায় তারা বাধ্য হয়েছেন এ সিদ্ধান্ত নিতে। এদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা যুগের পর যুগ ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। কিন্তু পরিবারের ব্যয় মেটানোর মতো কাজ ও উপার্জন না থাকায় গ্রামে চলে গেছেন। সমিতিগুলো তাদের সহায়তায় সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। নিজ সদস্যদের দেখাশোনার চেষ্টা করছে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এত শিল্পী-কলাকুশলীর পাশে থাকা অসম্ভব। তিনি বলেন, ঈদ বা অন্য কোনো উপলক্ষে এককালীন কিছু সহায়তা করা যায়। তাতে সবার প্রয়োজন মিটছে কিনা সে প্রশ্ন থেকে যায়। সবার পরিবারের সদস্য একরকম নয়। সবার জীবনযাপনও একরকম নয়। শাহীন সুমন বলেন, করোনার আগে থেকেই সিনেমা কম ছিল। চলচ্চিত্রে কাজের অভাব ছিল। করোনার সময় সেটা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর সমাধান একটাই। আর তা হলো বেশি বেশি সিনেমার নির্মাণ। সমস্যা হচ্ছে, চলচ্চিত্রে অর্থ লগ্নি করার আগ্রহ কমছে প্রযোজকদের। অনেক নামি প্রযোজক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হাত গুটিয়ে নিয়েছে। দু-একজন লগ্নি করালেও তা অনিয়মিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চলচ্চিত্র


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ