নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফিরেছে সিরিজ জয়ের হাসি নিয়ে। প্রথমের সেই আনন্দ শেষ হতে না হতেই ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে পেয়ে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের আঙিনায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও সিরিজ জেতার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে রাসেল ডমিঙ্গোর দল। যদিও সিরিজের তিন ম্যাচ এখনও বাকি। সামনে আছে বিশ্বকাপ। ওই আসরের পর আরও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ফলে রেকর্ড সমৃদ্ধ করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে মাহমুদউল্লাহদের সামনে। তবে এবছর এখনই হয়ে গেছে এই সংস্করণে বাংলাদেশের সেরা বছর! নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ে এই বছর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের জয় সংখ্যা হলো ৮টি। এক পঞ্জিকা বর্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড এটিই। ক্রিকেটের আধুনিকতম সংস্করণে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার আগের কীর্তিটি ছিল আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে। ২০১৬ সালে ১৬ ম্যাচের সাতটিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ১৬ ম্যাচে জয়ের সংখ্যা ছিল পাঁচটি। এছাড়া, ২০১২ ও ২০১৯ সালে টাইগাররা জিতেছিল চারটি করে ম্যাচ।
গত মার্চে বছরের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিউজিল্যান্ডের মাঠ থেকে ৩-০ ব্যবধানে হেরে আসে বাংলাদেশ। এরপর জিম্বাবুয়ে সফরে জয় আসে ২-১ ব্যবধানে। তবে এবারের রেকর্ডে বড় ভূমিকা সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সিরিজের। দেশের মাটিতে গত মাসে পাঁচ ম্যাচের ওই সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতে নেয় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যা প্রথম। এর আগে জিম্বাবুয়ে সফরে জয় ছিল ২-১ ব্যবধানে। আর চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুই ম্যাচে এসেছে দুটি জয়। রেকর্ড গড়া জয়ের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বললেন, এই সংস্করণে ভালো করার বিশ্বাসটা তাদের সবসময়ই ছিল, ‘আমি সবসময়ই বিশ্বাস করেছি, আমরা বিশ্বাস করেছি, আমরা এই সংস্করণে ভালো দল। স্রেফ নিজেদের সামর্থ্য ও স্কিলে আস্থা রাখার বিশ্বাসটা দরকার আমাদের, যেন বাংলাদেশকে কিছু জয় এনে দিতে পারি। এবার এই ধারা (জয়ের) ধরে রাখতে পেরে আমরা খুশি।’
শুধু বাংলাদেশই কেন, এ বছরটি অনেক দিক থেকেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে মাহমুদউল্লার জন্যও। চলতি সিরিজেই মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে হয়েছেন দেশের সফলতম অধিনায়ক। এবার তার সামনে অনন্য এক অর্জনের হাতছানি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস করতে নামলেই বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই সংস্করণে ম্যাচ খেলার সেঞ্চুরি হয়ে যাবে মাহমুদউল্লাহর।
আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে মাইলফলক স্পর্শের সঙ্গে ভালো খেলে সিরিজ জয়ে অবদান রাখতে চান মাহমুদউল্লাহ, ‘আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি চেষ্টা করব যেন... আমার সবসময় যেটা লক্ষ্য থাকে, দলের জন্য খেলা ও দলে অবদান রাখা। চেষ্টা করব যদি আমি সুস্থ থাকি ও আমার ১০০তম ম্যাচটি খেলতে পারি, দলের জন্য যেন অবদান রাখতে পারি।’
২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। ১৪ বছর পরের আরেক সেপ্টেম্বরে তিনি খেলতে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের শততম ম্যাচ। এই সংস্করণে মাহমুদউল্লাহ দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্যদের একজন। তার অভিষেক থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ১০৮টি। এর ৯৯টিতেই খেলেছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। এই সময়ে দেশের হয়ে ৮৭ ম্যাচের বেশি খেলেননি আর কেউ। ৮৮ ম্যাচ খেলে দুই নম্বরে আছেন কিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। সাকিব আল হাসান খেলেছেন ৮৬ ম্যাচে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।