বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে পিকনিকের ট্রলারে অশ্লীল কার্যকলাপ চলাকালে অভিযানে গেলে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে দুই তরুণীসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) গ্রেপ্তার দুই তরুণীসহ ১৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার আসামিদের বয়স ১৪ থেকে ২২ বছর মধ্যে হবে। এদের মধ্যে দুইজন তরুণীও রয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলো, কালীগঞ্জের বড়গাঁও এলাকার শফিকুল ইসলাম (১৮), ইমরান (১৭), নিহাদ মোল্লা (১৬), মাসুম (১৭), বাহাদুরসাদীর রাসেল (১৮), নারগানা এলাকার মারুফ (১৭), ইমন (১৭), সুমন (১৬), ইমরান (১৫) এবং একুতা এলাকার মুরাদ (১৮)। নরসিংদীর পলাশ উপজেলার দড়িহাওলা এলাকার মাহবুব আলম (১৮), খানেপুরের মেহেদি (১৬) এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ঠাকুরবাড়িরটেক এলাকার সোনিয়া (২২) ও পাড়গাঁও এলাকার মুক্তা (১৮)।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৪ জনসহ পলাতক আরো ২৫ জনের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদুল আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নাম্বার ৪(৯)২১)।
সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-নাম্বার এর মাধ্যমে সংবাদ আসে কাপাসিয়ার সাফাইশ্রী গুদারাঘাট সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীর মাঝে দুই তরুণীসহ ৪০-৫০ জন যুবক উচ্চস্বরে গান-বাজনা করে অশ্লীল কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে উপদ্রব সৃষ্টি করছে। পরে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে শীতলক্ষ্যা নদী সাফাইশ্রী ঘাট থেকে নৌকায় চড়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয় কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদুল আলমসহ একদল পুলিশ সদস্য। পরে নদীর মাঝ বরাবর গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে উপদ্রব সৃষ্টি করা ট্রলারটি থামানোর জন্য চেষ্টা করে পুলিশ। সে সময় ট্রলারে থাকা উশৃঙ্খল দুই তরুণীসহ ৪০-৫০ জন উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ও কোমল পানীয়র বোতল ছুড়তে থাকে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশ সদস্যরা ট্রলারে থাকা উশৃঙ্খল যুবকদের দিকে অস্ত্র তাক করে তাদের থামানোর চেষ্টা করে। সে সময় পুলিশের ট্রলারের মাঝিকে আসামিরা মারধর করে। পরে পুলিশের ট্রলারে উশৃঙ্খল যুবকরা তাদের ট্রলারের মাধ্যমে ধাক্কা দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবিয়ে দেয়। সে সময় পুলিশ সদস্যরা এবং আহত মাঝি সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠে আসে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ শীতলক্ষ্যা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে নাকাসিনি ঘাট এলাকা থেকে ঘাতক ট্রলারটি আটক করে। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই তরুণীসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদুল আলম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
কাপাসিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীতে পিকনিকের ট্রলারে অশ্লীল কার্যকলাপ চলছে এমন সংবাদে অভিযানে গেলে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে দুই তরুণীসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ বলেন, গ্রেপ্তার দুই তরুণীসহ ১৪ জনকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।