নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে আগামী বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে বসছে কমনওয়েলথ গেমসের ২২তম আসর। তবে বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ আসর থেকে বাদ দেয়া হয়েছে শুটিং ও আরচ্যারি ডিসিপ্লিন! এ খবরে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের শুটার ও আরচ্যারদের মাঝে। আন্তর্জাতিক আসরগুলোর মধ্যে এই কমনওয়েলথ গেমস শুটিং থেকেই বাংলাদেশের সেরা সাফল্য এসেছে।
১৯৯০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের দলগত ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন আতিকুর রহমান ও আব্দুস সাত্তার নিনি। অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে সেরা হয়েছিলেন এ দুইজন। ২০০২ সালে ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বাংলাদেশের হয়ে স্বর্ণপদক জেতেন আসিফ হোসেন খান। এরপর একই ইভেন্টে টানা দুই আসর ২০১৪ গ্লাসগো ও ২০১৮ গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে রুপা জয় করেন আব্দুল্লাহ হেল বাকি। আর আরচ্যারিতে তো সদ্য সমাপ্ত টোকিও অলিম্পিক মাতিয়ে এসেছেন লাল-সবুজের তীরন্দাজরা। যদিও বড় ধরণে সাফল্য আসেনি, তবে ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়ে এসেছেন রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী।
বর্মিংহামে শুটিং ও আরচ্যারি থাকছে না- এ নিয়ে কতটা হতাশ লাল-সবুজের সংগঠকরা তা বোঝা যায় বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপুর কথায়। বুধবার তিনি বলেন, ‘আমাদের জানা মতে বার্মিংহামের শুটিং ও আরচ্যারি হওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে। করোনার কারণে ভারত তা বাতিল করেছে। পরের কমনওয়েলথ গেমসেও শুটিং না রেখেই অনেকে আয়োজক হওয়ার জন্য বিডিং করেছে। যদি পরবর্তীতে কমনওয়েলথ গেমস থেকেই শুটিং বাদ দেওয়া হয়, তাহলে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডিতেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ব। কারণ কমনওয়েলথ গেমস থেকে কেবল আমাদের শুটাররাই দেশের জন্য পদক জিতে এনেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে শুটাররা আসেন গেমসে। তাই নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে কমনওয়েলথ গেমসে শুটিংকে রাখেনি বার্মিংহাম।’
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ফখরুদ্দিন হায়দার বলেন, ‘বার্মিংহামে শুটিং নেই আমরা জানি। তাই বলে পরবর্তীতে যে থাকবে না এরকম কোন তথ্য নেই আমাদের কাছে।’ বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন,‘আমার সম্ভাবনাময় একটা খেলা বাদ দিয়েছে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষ। এতে আমরা যতটা না হতাশ তার চেয়ে বেশি হতাশ আরচ্যাররা। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে এ আরচ্যাররাই দেশকে পদক এনে দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য সুদূর প্রসারী। আমরা অলিম্পিকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আসর থেকে সাফল্য পেতে কাজ করে যাচ্ছি। এমন ঘোষণায় আমি হতবাক!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।