পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিরোধী দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ইতিহাসের স্বার্থে জিয়ার কবরের সত্যতা উদঘাটন করা উচিত। যদি তারা প্রমাণ করতে পারেন কবরে লাশ আছে তাহলে আমি নাকে খত দিবো।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হত্যা রোধে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ করে মোজাম্মেল হক বলেন, আপনারা ছবি দেখান। ছবি যদি নাও থাকে বিজ্ঞানকে আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারি না। ডিএনএ টেস্ট করলেই পাওয়া যাবে। যদি ওখানে কোনও কিছু থেকে থাকে, ডিএনএ টেস্ট করে তারা প্রমাণ করুক। যদি প্রমাণ হয়, জাতির কাছে নাকে খত দিয়ে ক্ষমা চাইবো। আমি যদি মিথ্যা কথা বলে থাকি, জাতি বিচার করুক, কোনও দন্ড দিলেও মেনে নেবো। আমি চ্যালেঞ্জ করি যে সেখানে তার কোনও মৃতদেহ নেই।
তিনি বলেন, কার না কার মৃতদেহ পাওয়া গেলো, জিয়ার কবর বলে চালিয়ে দেবেন, এমন মিথ্যাচার হতে পারে না। একটি মিথ্যা কবরকে জিয়াউর রহমানের কবর বলে চালিয়ে দেবেন, এটি হতে পারে না।
মন্ত্রী বলেন, যিনি প্রেসিডেন্ট, রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার অনুসারে তার সবকিছুর ছবি ধারণ করা থাকে। জিয়াউর রহমানের লাশের ছবিটা তাহলে দয়া করে দেখান। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেছেন, জিয়ার লাশের পোস্টমর্টেম হয়েছে, ২২টা বুলেট পাওয়া গেছে। যদি সত্য হয়ে থাকে ছবি দেখান, যদি বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে, মুখের ছবি দেখান। ছবি যদি নাও থাকে বিজ্ঞানকে আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারি না। ডিএনএ টেস্ট করলেই পাওয়া যাবে। যদি ওখানে কোনও কিছু থেকে থাকে, ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করুক।
মন্ত্রী এ সময় বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, আমি জিয়াউর রহমানের কবর অপসারণের কথা বলেছি। তবে কথাটি আসলে আংশিক সত্য। আমি জাতীয় সংসদে একাধিকবার বলেছি, সংসদের নকশার বাইরে যা কিছু আছে, তার সবকিছুই আমাদের অপসারণ করা উচিত। কেননা, এটি বিশ্বের মধ্যে একটি অনন্য নিদর্শন। আমি নকশার বাইরে সবকিছুই অপসারণ করতে বলেছি। সেখানে অন্যদের কবরও আছে। শুধু জিয়াউর রহমানের কবরকে নির্দেশ করে বলা নয়।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটওয়ারী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।