পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নূর তাবাসসুমের মায়ের ফোনে একটি এসএমএস আসে। তার মেয়ের সার্টিফিকেটের নাম পরিবর্তন হয়ে নূর রিমতি হয়েছে। তারা স্কুলে গিয়ে যোগাযোগ করলে স্কুল থেকে শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করতে বলা হয়। শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে দেখেন এসএসসির পাশাপাশি পিএসসি, জেএসসির সার্টিফিকেটেরও নাম পরিবর্তন হয়েছে। পরে ভিকটিমের পরিবার ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করে। মামলার তদন্ত ভার নেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, রমনা ও চকবাজার থেকে সার্টিফিকেট জালিয়াতি চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি। এ চক্রের একজন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারী। গ্রেফতাররা হলেন- নূর রিমতি, জামাল হোসেন, এ. কে. এম. মোস্তফা কামাল, মো. মারুফ, ফারুক আহম্মেদ স্বপন, মাহির আলমা ও আবেদ আলী। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অ্যাডমিট কার্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সনদ ও অনলাইন রেজাল্ট শিটের কপি জব্দ করা হয়।
গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেফতার নূর রিমতি ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর সিটি মডেল কলেজ থেকে অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। কিন্তু তার ইতালি যেতে এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট প্রয়োজন। এ জন্য তিনি তার মামা গ্রেফতার জামাল হোসেনের মাধ্যমে মোস্তফা কামালের সঙ্গে তিন লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন।
চুক্তি অনুযায়ী মোস্তফা কামাল শিক্ষা বোর্ডের দালাল চক্র মারুফ, মাহবুব আলম, ফারুক আহম্মেদ স্বপন ও আবেদ আজাদের সঙ্গে সমন্বয় করে ভুক্তভোগী নূর তাবাসসুমের সার্টিফিকেট সংক্রান্ত জেএসসি ও এসএসসি পাসের সব তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর তারা প্রথমে শিক্ষার্থীর বাবা ও মায়ের নাম সংশোধনের জন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফরমেটে আবেদন করেন।
ডিবি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, এরপর টাকার বিনিময়ে বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাহায্যে বোর্ডের ওয়েবসাইটের রেজাল্ট আর্কাইভে সংরক্ষিত কৃতকার্য প্রকৃত শিক্ষার্থী নূর তাবাসসুমের তথ্য পরিবর্তন করেন। সেখানে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী নূর রিমতির তথ্য আপলোড করে জাল সনদ তৈরি করেন। এমনকি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটেও তথ্য দেখা যায় নূর রিমতির। তিনি আরও বলেন, এ প্রতারক চক্র ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ অন্যান্য বোর্ডের বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, জন্মতারিখসহ অন্যান্য তথ্য পরিবর্তন করে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের তথ্য যোগ করে জাল সনদ তৈরি করতো। এর বিনিময়ে হাতিয়ে নেওয়া হতো মোটা অংকের অর্থ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।