Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২০ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থায়নে নেপালের লুম্বিনীতে একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের লক্ষ্যে দেশটির লুম্বিনী ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট এর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাবিত চুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইন ২০১৯ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এতদিন এটা ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশ বলে পরিচালিত হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ বলে সামরিক সরকারের আমলের সব অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করার বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। বিদ্যামান আইনে পরিচালনা বোর্ডের পরিবর্তে পরিচালনা পর্ষদ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অধ্যাদেশে বোর্ডে কোনোও সদস্য সচিব ছিল না। খসড়া আইনে বোর্ডের রেজিস্ট্রারকে সদস্যসচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তাছাড়া গত ২১ মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এসকাপ এর ৭৬তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিনমাসের মন্ত্রিসভা বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয় থেকে যুক্ত হন। মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে নির্দেশনা আসছে- যতগুলো অধ্যাদেশ রয়েছে যেগুলোকে আইনে পরিণত করতে হবে বলে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত ছিল।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগামী তিন মাস- আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মধ্যে এগুলো ফাইনাল করে ফেলতে হবে। পঞ্চম সংশোধনী ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায় অনুযায়ী দু’টি সামরিক সরকারের শাসনামল অবৈধ হয়ে যায়। ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত এবং ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর সময়ের মধ্যে জারি করা সব অধ্যাদেশও অবৈধ। ওই দুই সামরিক শাসনামলে ১৭২টি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। এই অধ্যাদেশগুলোকে আইনি ভিত্তি দিতে ২০১৩ সালে ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা অধ্যাদেশ কার্যকরণ (বিশেষ বিধান) আইন ২০১৩ এবং ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর সময়ের মধ্যে জারি কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরণ (বিশেষ বিধান) আইন-২০১৩ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধ্যাদেশগুলো যুগোপযোগী করে বাংলায় অনুবাদ করে আইনের খসড়া হিসেবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদে বিল আকারে পাস হয়ে আইনে পরিণত হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ