Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে আছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণে আছে। পাকিস্তান অংশ নিরাপদে আছে। শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। এ সময় বলেন, আফগানিস্তানে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তিনি। পাকিস্তান যেসব সমস্যার মুখে পড়তে পারে তা নিয়ে কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার বলেন, তালেবানরা কাবুল দখল নেয়ার আগেই যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের সামরিক পরিস্থিতি দ্রুত প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে প্রয়োজনীয় প্রহরা বসিয়েছে পাকিস্তান। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান তার নিরাপত্তা জোরদার করা শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অপারেশন জারবে আযব এবং অপারেশন রাদুল ফাসাদ। আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব আগে থেকেই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন। ফলে সেখানে যা ঘটেছে তাতে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে, কোনো কিছুই ঘটবে না। তবু আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা সচেতন থাকবো। আফগানিস্তান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ১৫ই আগস্ট তালেবানরা যখন কাবুল প্রবেশ করে, তার আগে আফগান ন্যাশনাল আর্মির বেশ কয়েকজন সদস্য পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। তারা নিরাপত্তা চান। কারণ, তাদের ভয় ছিল। মনে করেছিলেন তাদের পোস্টে তালেবানরা হামলা চালাতে পারে। এসব সেনা সদস্যকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। সামরিক নিয়মের অধীনে তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় কি ঘটতে যাচ্ছে তা বুঝতে পেরেছিল পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী। তাই সীমান্ত দিয়ে লোক প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ৭৮টি সীমান্ত ক্রসিংয়ের মধ্যে ১৭টিকে নোটিশ করা হয়েছে। সব রকম অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। ১৫ই আগস্টের পরে টার্মিনাল ও সীমান্ত ক্রসিংগুলো উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। প্রহরীরা অব্যাহতভাবে সীমান্তের উভয় পাশে প্রহরা দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আফগানিস্তান থেকে সামরিক ও বাণিজ্যিক মিলে এখন পর্যন্ত ১১৩টি ফ্লাইটের মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে পাকিস্তান। দুই যুগের যুদ্ধে প্রতিবেশী পাকিস্তানে কি ক্ষতি হয়েছে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার। অনলাইন ডন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ