মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছেন, আফগানিস্তানের নেতৃত্বকে আন্তঃ-আফগান আলোচনার জন্য ‘অনুকূল পরিবেশ’ তৈরির দায়িত্ব নিতে হবে।তিনি বলেন, বন্দীদের মুক্তি বিনিময়ের ধারাটি মার্কিন-তালেবান চুক্তির একটি অংশ এবং আশরাফ ঘানির উচিত আমেরিকার কাছে এ সম্পর্কে ব্যাখ্যা চাওয়া। –ডন
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কুরেশি আরও বলেছেন, আলোচনাকে এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা আফগান নেতৃত্বেরই দায়িত্ব।তবে পাকিস্তান অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করতে পারে, আফগানিস্তানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
এই চুক্তি স্বাক্ষরের ঠিক একদিন পরে আফগানিস্তানে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়, যখন আফগান রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি এক আশ্চর্য পদক্ষেপ নিয়ে বলেছেন যে, চুক্তিতে ৫০০০ তালেবান বন্দী মুক্তি দেওয়ার কোন প্রতিশ্রুতি নেই। তালেবান গোষ্ঠী বন্দীদের মুক্তি না দেওয়া হলে, আলোচনার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে বসে। গতকাল গ্রুপটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, তালেবানরা কাবুল প্রশাসনের বিরুদ্ধে পুনরায় আক্রমণ শুরু করবে।
গত শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দোহায় তালেবানদের সাথে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যেটিকে পাকিস্তানের নিকট শান্তির আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে এবং আফগানিস্তানের ১৮ বছরের পুরনো যুদ্ধের সমাপ্তির সম্ভাব্য উপায় হিসাবে প্রশংসিত হয়েছিল। এই চুক্তির একটি ধারা হলো, আফগান সরকার ৫ হাজার বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং তালেবানরা ১০ মার্চের মধ্যে এক হাজার বন্দীকে মুক্তি দেবে।
তিনি বলেন, অতীতে কয়েদিদের আদান-প্রদান হয়েছে। আমরা যখন যুদ্ধ থেকে শান্তির দিকে এগিয়ে যাই, তখন ইতিবাচক অভিপ্রায় দেখানোর জন্য এটি করা দরকার, দ্বিপাক্ষিক বন্দী মুক্তি দরকারী ইস্যু।
কুরেশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘জেদ’ দেখানো হলে বিষয়গুলো এগিয়ে যাবে না। এটি একটি যৌক্তিক পদক্ষেপ, যা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, চুক্তির সাথে চুক্তি বাস্তবায়নে মনোভাব সংশোধন করতে হবে। যারা বাধা তৈরি করতে চেয়েছিল, তারা আগেও উপস্থিত ছিলেন। এখন এটি আফগান রাজনৈতিক নেতৃত্বের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চ্যালেঞ্জ যে, তারা ব্যর্থ হবে কিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।