গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
গেলো কোরবানির ঈদে কসাইয়ের কাজ করলেও পারিশ্রমিক পায়নি নাসির (৪৫)। সেই টাকা চাইতে গিয়ে কসাই শামীমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তার জের ধরে মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মুগদা থানা এলাকার ১২২ নং উত্তর মুগদার আমির মিয়ার বাড়ির সামনে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষির পর গরু কাটার ছুরি দিয়ে নাসিরকে আঘাত করা হয়। দুদিনে দুই হাসপাতাল ঘুরে শেষে গ্রিন রোডের ইউনি হেলফ স্পেশালাইজড হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) মারা যায় নাসির। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মুগদা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।
জানা যায়, মামলা নং- ৪২। ঘটনার পর মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে মতিঝিল বিভাগ পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ হত্যা মামলার মূল আসামিসহ এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল আহাদের তত্ত্বাবধানে সবুজবাগ জোনের এডিসি সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ও মুগদা থানার ওসির উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- মো. রিপন (১৯), মো. খোকন (২১), মো. মোস্তাক ফকির বাঘা (৪২) ও খুকি (৪০)।
মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল আহাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভিকটিম নাসির (৪৫) গত কোরবানির ঈদের দিন মামলার আসামি শামীমের সঙ্গে কসাইয়ের কাজ করেছিল। কিন্তু শামীম কাজের পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি। তাই ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় নাসির টাকা চায় শামীমের কাছে। এ সময় আরেক আসামি মোস্তাক ফকির বাঘা সেখানে উপস্থিত ছিল। সে শামীমের পক্ষ নিয়ে নাসিরের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ও কথা কাটাকাটি করে। এর জের ধরে হত্যার উদ্দেশে একইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে উত্তর মুগদা আমির মিয়ার বাড়ির সামনে নাসিরের পথরোধ করে এলোপাথাড়ি লাথি, কিল-ঘুষি মারা হয়। একপর্যায়ে মোস্তাক ফকির বাঘার দোকান থেকে গরু কাটার ছুরি নিয়ে এসে পেছন থেকে নাসিরকে আঘাত করা হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা নাসিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ঢামেক চিকিৎসকের পরামর্শে ভিকটিম নাসিরকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে দ্রুত আইসিইউতে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। চিকিৎসক জানান, মিটফোর্ড হাসপাতালে কোনো আইসিইউ বেড খালি নেই। পরে নাসিরকে গ্রীনরোডের ইউনি হেলফ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে নাসিরের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।