বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আজ ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভাসছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বিদ্রোহী এই কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন লাখো-কোটি ভক্ত। বাংলা সাহিত্যে কবির নানা অবদানকে স্মরণ করে তার রুহের মাগফেরারত কামনা করেছেন সাহিত্যপ্রেমীরা। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে জাতীয় কবির পঙোক্তি পোস্ট করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার এক বছর পর ১৯৭৬ সালের শোকের মাসের এদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাণের কবি কাজী নজরুল ইসলাম।জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’।
বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল।
নজরুলের কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। কবির এসব অসংখ্য গুণাবলীকে স্মরণ করে ফেসবুকে সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদুদ লিখেছেন, ‘‘বাঙালির জাগরণ ও মানবতার কবি ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাঙালির জাগরণ, মানবতা, সাম্য ও সম্প্রীতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর হৃদয়মাধুর্য দিয়ে সব শ্রেণিবৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন প্রেমের কবি, যে প্রেম মানুষের কল্যাণে হৃদয় থেকে উৎসারিত হয়। শুধু লেখনীর দ্বারা নয়, নিজের জীবনের সব রকম ঝুঁকি নিয়ে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এক পায়ে খাঁড়া ছিলেন আশাবাদী নজরুল ইসলাম। তার ইসলামী গান ও কবিতাগুলো এখনও আমাদের শিরায় শিয়ার টর্নেডোর মতো জোয়ার সৃষ্টি করে। তাঁর সকল সৃষ্টিশীলতা সকল শ্রেণির পাঠক-শ্রোতাকে বিমোহিত করে। আজ শুক্রবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। আমরা আজ জুম্মার দিনে কায়োমনোবাক্যে জাতীয় কবির আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। দোয়া করছি, মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন।’’
জাতীয় কবিকে স্মরণ করে কবি আলমগীর হোসাইন লিখেছেন, ‘‘সাম্যের কবি,মানবতার উদাহরণ। কবির সুমহান প্রয়াণ দিবসে কবির প্রতি একরাশ সুগভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। পবিত্র মক্কার উপরে উঠে হযরত বিল্লাল আযান দেই আল্লাহু আকবর। মানুষ সৃষ্টির সেরা কবিতা হযরত বিল্লাল আযান দেই আল্লাহু আকবর। গাহি সাম্যের গান সবার উর্ধ্বে মানুষ মহীয়ান।’’
এম হাসান লিখেছেন, ‘‘কাজী নজরুল ইসলামকে দেখে এদেশের জারা রাজনীতি করে তারা কি কিছু শিখতে পারে না। শুধু মুখেই বলে কাজ করে না
রাজনীতি করতে হবে দেশ ও দেশের মানুষের জন্যে। যেমন কাজী নজরুল ইসলাম সে শুধু কবি ছিলেন না সে এক জন যুদ্ধা ছিলেন । তার লেখা থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে। সবার উপরে দেশ। দেশকে বিকিয়ে আমরা রাজনীতি করবো না বন্ধু এক হাতে হয় না বন্ধু দু হাতে হয়।আমাদের নীতি বদলাতে হবে আমরা পরো নীতিতে চলবো কেন। আমাদের নিজ নীতিতে চলতে হবে আর অন্য দেশের সাথে চুক্তি করলে আগে নিজেদের দেশের স্বার্থ আগে চিন্তা করতে হবে। দেশ বিকিয়ে কোন চুক্তি করা যাবে না। অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে আল্লাহ আপনি যথাযথা সম্মান দান করুন সে আপনার গুনগান গেয়েছেন। আমিন।’’
কবির নানা প্রতীভাকে স্মরণ বরে মীর ইয়াসিন লিখেছেন, ‘‘কাজী নজরুল ইসলাম শুধু দ্রোহ, প্রেম কিংবা মানবতার কবি ছিলেন না, তাঁর সব্যসাচী প্রতিভার ছোঁয়া ছিলো সাংবাদিকতায়ও। তাঁর লেখনীতে মুক্তি ও স্বাধীনতার চেতনা ছিলো স্পষ্ট। অত্যাচার, সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে ছিলেন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।’’
নুরজাহান করিম লিখেছেন, ‘‘কবি কাজী নজরুল আমাদের প্রাণের কবি তার লিখাতে অসাধারণ ক্ষমতা আছে যা মন কাঁড়ে অতিসহজে।আল্লাহ্ এই প্রতিভাবান কবিকে জান্নাত বাসি করুক আমিন।’’
বসির কবিতার ছলে লিখেছেন, ‘‘শুভ জন্ম দিন। প্রিয় কবি। আমি চিরো তরে দুরে চলে যাবো,তবুও আমারে দিবোনা ভুলিতে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।