পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটের ডেকেছে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রী ও পণ্য সরবারহকারীরা। হঠাৎ করে ডাকা এই ধর্মঘটে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নেটিজেনরা।
গোলাম মোস্তফা ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য নয়, বরং ভাড়া বাড়ানোর জন্য অদৃশ্য শক্তির এই তৎপরতা! রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায় ‘
নিন্দা জানিয়ে ইঞ্জিনিয়ার সুদর্শন চন্দ্র সরকার লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, অবিলম্বে বাস চালু করার দাবি জানাচ্ছি...’
বিশ্বাস দিপাদ লিখেছেন, ‘হে দয়াময়, পরিবহন মালিক -শ্রমিক দের উগ্র আচরণ, দুর্ব্যবহার আর সরকারের যেমন খুশি চলো; এ দুটো চাপ থেকে বাঁচতে পরিবহন চলাচল অনন্তকাল অবধি বন্ধ রাখো। আমরা হেটেই না হয় যাতায়াত করি। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দুইই ভালো থাকবে।’
এমপি কিরণ লিখেছেন, ‘পরিবহন মালিকরা ধর্মঘট ডেকেছে তেলের দাম বাড়ানোর কারণে আর সরকার বাড়াবাড়ি জনগণের উপর বোঝা চাপিয়ে দিবে। তেলের দাম বাড়ানোর দরকার ছিল না, যদি দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতি না করতে দিত সরকার!’
ক্ষোভ প্রকাশ করে এমডি মাহবুর রশিদ লিখেছেন, ‘আমাদের সব কিছুর মুল্য হবে পৃথিবীর সবার উপর। কারণ বাংলাদেশ একমাত্র উন্নত দেশ। এদেশের দ্রব্য মূল্য কম, এটা মেনে নেয়া যায় না। যে দেশে ঘুষ দুর্নীতি সর্ব উচ্চ ...’
এমডি কাওসার হামিদ লিখেছেন, ‘কি লাভ এত উন্নয়ন দেখিয়ে, যদি সাধারণ মানুষগুলো না খেয়ে মারা যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দিকে তাকালে চোখ বেয়ে পানি চলে আসে। সাধারণ মানুষের তো আর ঘুষের টাকা নেই যে, তার পেট ভরে খাবে। তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, দেশের উন্নয়ন নয়, আগে দেশের দিনমজুর ও গরীব অসহায় মানুষগুলোর দিকে তাকান, দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে এই নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে বাঁচান। এক কাজ করেন আমাদের মতো গরিব নিম্ন মধ্যবিত্তদের একসাথে করে জ্বালিয়ে দিন। তিলে তিলে মরার চেয়ে একবারে মরে যাই। আপনাদের ইতরামির জন্য বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে জীবন চালানো খুব কঠিন হয়ে গেছে। বিশ্বাস করেন, আয়ের সাথে ব্যয় মিলাতে পারি না। সাংসারিক কোন অশান্তি না থাকার পরও শান্তিতে ঘুমাতে পারি না, সংসার কিভাবে চলবে সে চিন্তায়। আমাদের মেরে ফেলুন। গরিবরা মরে যাক, শুধু আপনারা ধনীরা বেঁচে থাকুন। বাংলাদেশ ধনী দেশে রূপান্তর হোক।’
মোহসিন খান লিখেছেন, ‘শেষ হাসিটা পরিবহন সেক্টর হাসবে, কারণ তেলের দাম কমাবে না, আন্দোলন করার পর ভাড়া বাড়বে আর সাধারণ জনগণের পকেট কাটা শুরু হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।