পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে হাস্যকর বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ যে নেই, তা খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতারাও ভালো করে জানেন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির উদ্যোগে ’২১ আগস্টের চক্রান্তমূলক গ্রেনেড হামলা’ শীর্ষক ‘ইতিহাস কথা কয়’ ব্যানারে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী যিনি নিশিরাতের ভোটের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন তিনি আবার বিশোষগার করেছেন আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের বিরুদ্ধে। তিনি তার মাজার সম্পর্কে কথা বলেছেন, একাত্তর সালের যুদ্ধে তার ভূমিকা নিয়েও কথা বলেছেন। এটা একটা হাস্যকর বক্তব্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) রেখেছেন। এই বক্তব্যগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে, এরা কতটা প্রতিহিংসা পরায়ণ। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন তার ন্যূনতম যে স্বীকৃতি সেই স্বীকৃতিও দিতে তারা নারাজ। এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য, দিবালোকের মতো সত্য যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তিনি রনাঙ্গনে থেকেই যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। যেদিন তিনি শাহাদাত বরণ করে সেদিন এদেশের লাখ লাখ মানুষ তার জন্য কেঁদেছিলো এবং মানিক মিয়া এভিনিউতে লাখ লাখ মানুষ তার জানাজায় অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে তিনি যে কত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, আওয়ামী লীগ যেখানে সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করেছে। তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, ভোটের অধিকার লুট করেছে, বাংলাদেশকে একটা তাবেদার রাষ্ট্রের পরিণত করেছে। জনগনের সমস্ত অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে এটাকে একটা পুরোপুরি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চলেছে। আওয়ামী লীগ বেশিদিন ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, বাংলাদেশে যে জাতি তার অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশকে গণতন্ত্রহীন করার জন্য, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নগুলোকে ভেঙে চুরমার করে দেয়ার জন্য ২১ আগস্ট একটি সুদুরপ্রসারী চক্রান্ত অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২১ আগস্ট এবং ১/১১ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ১/১১ ঘটনার জন্য ২১ আগস্ট ছিলো একটা প্রাথমিক চক্রান্ত। ঝূঁকিটা বড় ছিলো। বিএনপি সবসময় যেকোনো রকম অন্যায়, হত্যা এবং সংঘাতের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক দল। সেজন্য ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন, প্রতিবাদ করেছেন এবং বেগম খালেদা জিয়া তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতার (শেখ হাসিনা) বাসায় যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাকে যেতে দেয়া হয়নি, বাঁধা দেয়া হয়েছিলো। ২১ আগস্টের পুরো বিষয়টা ছিলো একটা রাজনৈতিক বিষয়, প্রতিহিংসার রাজনীতি, চক্রান্তের রাজনীতির বিষয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে দেয়া হবে না, বাংলাদেশকে একটা তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে, বাংলাদেশের মানুষের অধিকারগুলোকে ছিনিয়ে নেয়া হবে এবং সত্যিকার অর্থেই এদেশকে একটা নতজানু দেশ হিসেবে পরিণত করা হবে-সেটাই ছিলো উদ্দেশ্য, তার একটা অংশ ২১ আগস্ট।
বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।