পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভাঙন ও বন্যাকবলিত লাখো পানিবন্দির অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অতিবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে উজানের ঢল আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহে ক্রমাগত বাড়ছে পানি। গতকাল বৃহস্পতিবার পদ্মা, যমুনা, মেঘনাসহ সাতটি নদ-নদী ১২টি পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হয়। ব্রহ্মপুত্র নদ বিপদসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থানে পৌঁছে গেছে। ডুবে যাচ্ছে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা সংলগ্ন চর ও নিম্নাঞ্চল। দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের ৭২টি স্থানে পানি বৃদ্ধির দিকে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার এবং বর্ষণ আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে।
মধ্য-ভারত, বিহার, হিমালয় পাদদেশীয় ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং নেপাল, তিব্বতসহ চীনেও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। ভারত নিজেদের বন্যামুক্ত রাখতে সব বাঁধ-ব্যারেজ খুলে পানি ছেড়ে দেয়ায় উজানের ঢল-বানের তোড়ে ফুলে-ফুঁসে উত্তাল হয়ে উঠেছে নদ-নদী। দেশের অভ্যন্তরেও হচ্ছে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত। এ অবস্থায় চলমান বন্যা, নদীভাঙন পরিস্থিতি গড়াবে সেপ্টেম্বর মাসেও। এ বিষয়টি উঠে এসেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বন্যা পূর্বাভাস সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে।
দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের অববাহিকাভিত্তিক পাউবোর প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, আবহাওয়ার সাম্প্রতিক পূর্বাভাস ও প্রবণতা অনুযায়ী আগামী দুই সপ্তাহে উজানের অববাহিকাসমূহের অনেক স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, তিস্তা-ধরলা, মধ্যাঞ্চলে পদ্মা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। এলাকাভেদে আগামী দুই-চার দিন থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এসব নদ-নদী বিপদসীমার ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হয়ে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে বন্যার অবনতি ঘটতে পারে বিভিন্ন এলাকায়। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকায় সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
উজান থেকে ভারতের ঢল অব্যাহত থাকায় দেশের নদ-নদীসমূহে পানি বৃদ্ধির দিকেই রয়েছে। প্রধান নদীগুলো ছাড়াও শাখা-প্রশাখা, উপনদীগুলো উত্তাল। এর সাথে নদীভাঙন বিস্তৃত হচ্ছে। উত্তর জনপদ, মধ্যাঞ্চল, উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব থেকে দক্ষিণে চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, ল²ীপুর, ভোলা, খুলনাসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভাটি ও মোহনা পর্যন্ত নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। প্রতিদিন ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফল-ফসলের জমি, বাগান, খামার, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
বন্যার্ত ও নদীভাঙন কবলিত লাখো পানিবন্দী মানুষের দুঃখ-দুর্দশা অবর্ণনীয়। গতকাল বিকাল পর্যন্ত পদ্মা, যমুনা, মেঘনা, ধরলা, ধলেশ^রী, আত্রাই, মুহুরী এই ৭টি নদ-নদী ১২টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে। নদীভাঙন ও বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি ঘটছে।
দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের পরিস্থিতি সম্পর্কে পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, ১০৯টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৭২টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি, ৩৫টিতে হ্রাস, দু’টি স্থানে অপরিবর্তিত থাকে। এরমধ্যে ৮টি নদ-নদীর ১০টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার নদ-নদীর ৬৬টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি, ৩৯টিতে হ্রাস, ৪টি স্থানে অপরিবর্তিত এবং এরমধ্যে ৬টি পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে ছিল। মঙ্গলবার ৬৮টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি, ৩৮টিতে হ্রাস, ৩টি স্থানে পানি অপরিবর্তিত এবং এরমধ্যে ৬টি পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে ছিল। সোমবার ৫৮টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি, ৪৭টিতে হ্রাস, ৬টি স্থানে অপরিবর্তিত এবং এরমধ্যে ৬টি পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হয়।
প্রধান নদ-নদীসমূহের প্রবাহ পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে, পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও মানিকগঞ্জ জেলার নি¤œাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর জেলার নি¤œাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদ চিলমারী পয়েন্টে, যমুনা নদ কাজীপুর, সারিয়াকান্দি ও মথুরা পয়েন্টে এবং তিস্তা নদী ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস উল্লেখ করে গতকাল পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর সংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরফলে এ সময়ে এসব অঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, আপার আত্রাই, আপার করতোয়া, পুনর্ভবা, কুলিখ, ট্যাঙ্গন নদ-নদী এবং আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল দ্রæত বৃদ্ধি পেতে পারে।
প্রধান নদ-নদীর প্রবাহের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে গতকাল বিকাল পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, উত্তর জনপদে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদের পানি সবক’টি পয়েন্টে বৃদ্ধির দিকে রয়েছে। যমুনা নদ সারিয়াকান্দিতে বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার ও আরিচা পয়েন্টে দুই সে.মি. ঊর্ধ্বে এবং কাজীপুর ও মথুরায় বিপদসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদ চিলমারীতে বিপদসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থানে (মাত্র তিন সে.মি. নিচে) পৌঁছে গেছে। ধরলা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে কুড়িগ্রামে বিপদসীমার ৮ সে.মি. ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে।
উত্তর-মধ্যাঞ্চলে আত্রাই নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে বাঘাবাড়ীতে বিপদসীমার ২৭ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মধ্যাঞ্চলে ধলেশ^রী নদীর পানি আরও কিছুটা বেড়ে এলাসিন ঘাটে বিপদসীমার ২৪ সে.মি. ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে।
পদ্মা নদীর পানি প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে এবং গোয়ালন্দে বিপদসীমার ৪৫ সে.মি. উপর দিয়ে, সুরেশ^রে বিপদসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে। ভাগ্যকুল ও মাওয়ায় পদ্মা বিপদসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থানে রয়েছে।
মেঘনা নদী ভাটি-মোহনায় চাঁদপুরে পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১ সে.মি. ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হয়। ভারতের ত্রিপুরায় অতিবৃষ্টিতে পার্বত্য অববাহিকায় ফেনীর পরশুরামে মুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বেতনা নদী বিপদসীমার ১৪ সে.মি. ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় উজানে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হয়েছে। এরমধ্যে চেরাপুঞ্জিতে ১৭৪, দার্জিলিংয়ে ১১১, পাসিঘাটে ৭৭, জলপাইগুড়িতে ৪৭, শিলংয়ে ৪৩ মিলিমিটারসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরে নদ-নদী অববাহিকা এলাকাসমূহে উল্লেখযোগ্য ভারী থেকে অতিবৃষ্টি, কক্সবাজারে ১৯৬, লরেরগড়ে ১২৪, সুনামগঞ্জে একশ’, দুর্গাপুরে ৮২, মহেশখোলায় ৭৯, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬৫, চিলমারী, জাফলং ও পাটেশ^রীতে ৬২ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পাউবো।
ওমর ফারুক ফেনী থেকে জানান, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ফেনীর মুহুরী নদীতে প্রবেশের ফলে নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। গত বুধবার রাত ৮ টার দিকে হঠাৎ ফুলগাজী উপজেলার জয়পুর নামক স্থানে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ২২ মিটার অংশ ভেঙ্গে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। ফলে ৪ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্নের রোপা আমনের খেত,মৎস্য ঘের ও রাস্তাঘাট।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরের দিকে মুহুরী নদীতে পানি বিপদসীমার ১২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেলের দিকে নদীতে পানি বেশি ছিল। রাত ৮টার দিকে নদীর বেড়িবাঁধের একটি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। পরে রাতের মধ্যে পানি কিছুটা নেমে গেলেও এখনও বিপদসীমা কাটেনি। গতকাল নদীর পানি ১৩ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে তারা জানান। উজানে বৃষ্টি না হলে পানি দ্রæত নেমে যাবে বলে তারা জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম বলেন, মুহুরী নদীর একটি স্থানে ভাঙনের ফলে সদর ইউনিয়নের ৪ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম বেবু কুড়িগ্রাম থেকে জানান, অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলের কারণে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। গতকাল বৃহষ্পতিবার ধরলার পানি বিপদ সীমার ১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রক্ষপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ৭ সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা, দুধকুমোর ও নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার সমান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শতাধিক চরের নীচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দী হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।নদ-নদী অববাহিকার ৬ হাজার হেক্টও জমির আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে আছে।
ফয়সাল হক চিলমারী থেকে জানান, পুটিমারী কাজলঙ্গা, রাজারভিটা জোড়গাছ, পাত্রখাতা, তেলী পাড়া, বৈলমনদিয়ার খাতা, দক্ষিনখাউরিয়া এলাকায় বাড়িঘরে পানি ওঠায় লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মাইলডাঙ্গা, পেদিখাওয়া, চাচলারবিল, হন্নেরন্দ ও মাগুরারবিলের আমন ক্ষেতসহ উঠতি ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
আবুল হাসান সোহেল মাদারীপুর থেকে জানান, মাদারীপুরের শিবচরে বিভিন্ন নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে শিবচরের আড়িয়াল খা নদে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আড়িয়াল খা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে তীব্র স্রোতে কলাতলা-শিরুয়াইল অংশে পুনরায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গত তিনদিন যাবৎ আড়িয়াল খা নদীর এই স্থানে তীব্র ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙ্গনকবলিত সাধারণ মানুষ।
শাহীন তারেক মানিকগঞ্জ থেকে জানান, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি মানিকগঞ্জের আরিচা পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে জেলার নিম্নাঞ্চলের রাস্তা ঘাট ও ফসলী জমি।
আতাউর রহমান আজাদ টাঙ্গাইল থেকে জানান, টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাইসহ অনান্য নদী পানি আবারো বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।